বমির ট্যাবলেট এর নাম | গর্ভাবস্থায় বমির ট্যাবলেট এর নাম | বমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম - bomir tablet
অনেকেরই ঘন ঘন বমি হওয়ার মত বিরক্তিকর সমস্যাটা রয়েছে।যখন বমি শুরু হয় তখন আমাদের শরীর হঠাৎ করেই অনেক খারাপ হয়ে যায়।যারা অতিরিক্ত ভ্রমণ করে থাকেন তাদের এই সমস্যাটা একটু বেশি হয়ে থাকে। বমি কোন ধরনের রোগ নয় এটা সাধারণত আমাদের অসাবধানতার কারণে অনেক সময় হয়ে থাকে। তবে বমির সমস্যাটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিবেশের উপর নির্ভর করে থাকে। অনেকের শরীরে নানান ধরনের রোগব্যাধি থাকে বলে বমি হয়ে থাকে।তাই বমি দূর করার জন্য বা বমি যেন না হয় এর জন্য আমরা অনেকে অনেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি।আজকের পোস্টে বমির ট্যাবলেটের নাম,বমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম,বমি থেকে মুক্তির উপায় ও বাসে বমি বন্ধ করার ট্যাবলেট এর নাম জানানো হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক:-
বমির ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জেনে নিতে হবে কেন বমি হয় । নিওটেরিক আইটির এই বিস্তারিত আর্টিকেলে আপনারা আপনাদের কাঙ্কিত সঠিক তথ্য খুজে পাবেন আশাকরছি ।
বমি কেন হয়
বমি হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। এই খাবার সাধারণত মুখের মাধ্যমে গলা দিয়ে পাকস্থলীতে প্রবেশ করে থাকে। অনেক সময় নানা কারণে পাকস্থলীর এই খাবার সমূহ উদগীরণ হয়ে মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াকেই আমরা সাধারণত বমি বলে থাকি।
বমির ট্যাবলেট এর নাম - গর্ভাবস্থায় বমির ট্যাবলেট এর নাম - বমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম - bomir tablet - NeotericIT.com
বমির ট্যাবলেট এর নাম
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা বমির ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে জানতে চান তারা নিছের ঔষধ গুলো দেখতে পারেন । বমির চিকিৎসায় অনেক ধরনের ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ট্যাবলেট গুলো সাধারণত বমির ঔষধ হিসেবে অনেকে চিনে থাকেন। বমির ট্যাবলেট গুলোর মধ্যে রয়েছে:-
- মেকলোজিন
- ওনডানসেটরন
- হায়োসিন
- ডমিরেন
- ভমিটোপ
- আ্যাপিডোন
- মটিগুট
এই ট্যাবলেট গুলো সাধারণত বমির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যারা অনেক দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণ করে থাকেন তাদের জন্য এই ট্যাবলেট গুলো দারুন কার্যকারী হতে পারে। এই ট্যাবলেট গুলো ভ্রমণের আগের রাত্রে একটি এবং যাত্রার ত্রিশ মিনিট আগে একটি খেয়ে নিলে বমি বমি ভাব অনেকটা কমে আসে বা বন্ধ হয়ে থাকে।
বমির ট্যাবলেট নাম স্কয়ার। বমির ট্যাবলেট এর নাম কি
অনেকেই স্কয়ার কোম্পানির বমির ট্যাবলেট এর সন্ধান করে থাকেন। কেননা বাংলাদেশে স্কয়ার কোম্পানি খুবই জনপ্রিয় একটি কোম্পানি। তাই স্কয়ার কোম্পানির ট্যাবলেট এর উপর মানুষের বিশ্বস্ততা অনেক বেশি রয়েছে।বমি বন্ধ করার জন্য স্কয়ার কোম্পানির দারুন একটি ট্যাবলেট রয়েছে। স্কয়ার কোম্পানির বমি বন্ধ করার ট্যাবলেট টির নাম হচ্ছে motigut.এই ট্যাবলেটটি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বমি বমি ভাব দূর করে থাকে। তাই বমি বমি ভাব আসলে এই ট্যাবলেটটি নিঃসন্দেহে খেয়ে নিতে পারেন।
বাচ্চাদের বমির ঔষধের নাম
বাচ্চাদের বমির ঔষধের সন্ধান যারা করছেন তাদের অবশ্যই বাচ্চাদের বমির ঔষধ একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ানো উচিত। কেননা বাচ্চার কি কারনে বমি হচ্ছে সর্বপ্রথম এটা নির্ধারণ করতে হবে তারপরে বাচ্চাদের বমির চিকিৎসায় ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। বাচ্চাদের যদি কোন ভুল ভাল ঔষধ খাওয়ানো হয়ে থাকে তাহলে এতে সমস্যাটা আরো বেশি হতে পারে।
আরো পড়ুন ঃ মাথা ঘুরানো থেকে মুক্তির উপায়
বমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
বমির ট্যাবলেট যদি সঠিক নিয়মে খেতে পারেন তাহলেই বমি বন্ধ হবে ও বমি বমি ভাব দূর হবে। তাই অবশ্যই বমির ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়ম প্রত্যেকেরই যারা জরুরী। যাদের শরীরে কোন ধরনের রোগ নেই কিন্তু দীর্ঘ কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে গেলে বমির মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে তারা চাইলে ভ্রমণের আগের রাতে একটি বমির ট্যাবলেট খেয়ে নিতে পারেন। তারপরে যখন গাড়িতে উঠবেন তার হাফ ঘন্টা আগে একটি ট্যাবলেট সেবন করবেন। এর মাধ্যমে আপনার বমি ভাব অনেক দূর হয়ে যাবে এবং বমি হওয়ার সম্ভাবনা তেমন থাকবে না বললেই চলে। তবে রোগীর শরীরে যদি অন্য কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা উচিত।
আরো পড়ুন ঃ দাউদ এর ঔষধ এর নাম
বাসে বমি বন্ধ করার ট্যাবলেট
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা বাসে করে কোন স্থানে গেলে বমি হয়ে থাকে। বাসে উঠলে বমি হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। কেননা কোন ব্যক্তি যখন বাসে উঠে থাকে তখন অতিরিক্ত ঝাঁকুনীর কারণে খাবার উপরের দিকে উঠে আসতে পারে যার ফলে বমির সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।তাছাড়া অনেকের বমি বমি ভাব আসতে পারে যার ফলে পরবর্তীতে বমি হয়ে যেতে পারে। তাই অনেকেই বাসে বমি বন্ধ করার ট্যাবলেট রয়েছে কিনা এই বিষয়ে জানতে চান।যারা বাসে করে দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করতে যান কিন্তু বমির সমস্যা রয়েছে তারা চাইলে মেকলোজিন অথবা হায়োসিন ট্যাবলেট যাত্রার ৩০ মিনিট আগে খেয়ে নিতে পারেন। তাহলে এই বমি ভাবের সমস্যাটা কেটে যাবে এবং বাসের মধ্যে বমি আসবেনা।
গর্ভাবস্থায় বমির ট্যাবলেট এর নাম
আপনারা যারা গর্ভাবস্থায় বমির ট্যাবলেট এর নাম জানতে চান তাদের জন্য নিওটেরিক আইটির এই পর্ব । অনেক রোগীর গর্ভাবস্থায় বমি অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাই এই সময়টাতে তারা গর্ভাবস্থায় বমি দূর করার জন্য অনেকে ট্যাবলেটের খোঁজ করে থাকেন।গর্ভাবস্থায় বমি হলে ondansetron,emezin plas,domperidone 10 mg,emirest odt,zofra odt,hyosin এই ট্যাবলেটগুলো মধ্যে থেকে যেকোনো একটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারেন।যদি ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত এই ট্যাবলেট গুলো সেবন করে থাকেন তাহলে তার ক্ষতি হতে পারে তাই অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বমির ট্যাবলেট গর্ভাবস্থায় খেতে হবে।
Emistat 8mg এর কাজ কি। ইমিসটেট ট্যাবলেট এর কাজ
আপনি কি ইমিসটেট ট্যাবলেট এর কাজ সম্পর্কে জানতে চান ? অনেকেই এই ট্যাবলেট কে বমির ঔষধ হিসেবে মনে করে থাকেন। তবে এই ধরনের ট্যাবলেট কখনোই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত খাওয়া উচিত নয়। কেননা ইমিসোটেট এইট এমজি ট্যাবলেট একমাত্র অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি, বা বিকিরণ সেশন এর পর উল্টানো বমি বমি ভাব প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এই ওষুধটি সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বমির জন্য কি ঔষধ ব্যবহার করা ভালো হবে
অনেকেই বমির জন্য কোন ঔষধ টা ব্যবহার করলে সব থেকে ভালো হবে এই নিয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। উপরে বমির জন্য যে ট্যাবলেট গুলোর কথা বলা হয়েছে এগুলো সবই অসাধারণ কাজ করে বমি বমি ভাব দূর করার জন্য। তবে যদি আলাদা করে বমি দূর করার জন্য কোন ট্যাবলেট এর কথা বলতে হয় তাহলে মেকলোজিন অথবা হায়োসিন ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারেন। বমি ভাব দূর করার জন্য অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এই ট্যাবলেট ব্যবহার করে চলেছে।
বমির ঔষধের নাম বাংলাদেশ
বাংলাদেশে থেকে যারা সেরা বমির ঔষধের সন্ধান করছেন তাদের জন্য নিচে কয়েকটি বমির ঔষধের নাম উল্লেখ করা হলো। এই ঔষধ গুলো খাওয়ার মাধ্যমে খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে বমির সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন:-
- এমিগো ৮ এমজি ট্যাবলেট
- এমসেট ৮ এমজি ট্যাবলেট
- সেট্রোনেম ৮ এমজি ট্যাবলেট
- ওনডেম ৮ এম জি টেবলেট
যারা বমির জন্য সেরা ঔষধ খুঁজছেন তারা এই চারটি ঔষধের মধ্যে অথবা উপরের দেওয়া যে সকল ট্যাবলেটের নাম রয়েছে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।তবে যাদের পাকস্থলী বা লিভারে কোন ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই বমির ট্যাবলেট ব্যবহার করার আগে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তারপরে ব্যবহার করতে হবে।
বমির ট্যাবলেট নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
বমির ট্যাবলেট নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর ঃ
বমির ট্যাবলেট এর কাজ কী?
বমির ট্যাবলেট এর কাজ হল বমি বমি ভাব এবং বমি বন্ধ করা। এগুলো প্রায়ই গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস, খাদ্যে বিষক্রিয়া, এবং অন্যান্য কারণে বমি বমি ভাব এবং বমি প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত হয়।
বমির ট্যাবলেট কিভাবে কাজ করে?
বমির ট্যাবলেট বিভিন্ন উপায়ে কাজ করতে পারে। ডমপেরিডন এবং মেটোক্লোপ্রামাইড পেটের পেশীগুলিকে আরও শক্তিশালী করে এবং অন্ত্র থেকে খাদ্যকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যায়। প্রোক্লোপাইড এবং অন্টিমেট মস্তিষ্কের একটি অংশকে প্রভাবিত করে যা বমির অনুভূতি সৃষ্টি করে। মরনিন এবং নারকোটিক মস্তিষ্কের একটি অংশকে প্রভাবিত করে যা ঘুম এবং শান্তি প্রদান করে। ট্রাইমেথাজিন এবং হিস্তামিন অ্যান্টাগোনিস্ট পেটের মধ্যে একটি হরমোনকে বাধা দেয় যা বমি বমি ভাব এবং বমি সৃষ্টি করতে পারে।
বমির ট্যাবলেট কিভাবে খাওয়া উচিত?
বমির ট্যাবলেট খাবারের সাথে বা খাবারের পরে খাওয়া যেতে পারে। ডোজ বমি বমি ভাব এবং বমি কতটা গুরুতর তার উপর নির্ভর করে।
বমির ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী কী?
বমির ট্যাবলেট এর কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল:
- মাথা ঘোরা
- ক্লান্তি
- পেশী ব্যথা
- মুখ শুকিয়ে যাওয়া
- বমি বমি ভাব
- ডায়রিয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- ঝাপসা দৃষ্টি
বমির ট্যাবলেট এর কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি?
বমির ট্যাবলেট এর কিছু গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল:
- আবেগগত পরিবর্তন
- মস্তিষ্কের ক্ষতি
- ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা
- হৃদরোগ
- লিভারের ক্ষতি
বমির ট্যাবলেট কি শিশুদের জন্য নিরাপদ?
বমির ট্যাবলেট কিছু শিশুর জন্য নিরাপদ হতে পারে। তবে, শিশুদের বমির ট্যাবলেট খাওয়ানোর আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
বমির ট্যাবলেট কি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ?
গর্ভবতী মহিলাদের বমির ট্যাবলেট খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
বমির ট্যাবলেট কি স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য নিরাপদ?
স্তন্যদানকারী মহিলাদের বমির ট্যাবলেট খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
বমির ট্যাবলেট কি অ্যালকোহলের সাথে নিরাপদ?
বমির ট্যাবলেট অ্যালকোহলের সাথে নেওয়া হলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে। অ্যালকোহল পান করার সময় বমির ট্যাবলেট খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
শেষ কথা,ইতিমধ্যে বমির ট্যাবলেটের নাম কি বা বমি দূর করার ঔষধ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছে। তাই যারা যাত্রা পথে অতিরিক্ত পড়ে থাকেন তারা নিঃসন্দেহে এই ট্যাবলেট গুলো খেতে পারেন। তবে যাদের শরীরে কঠিন কোনো রোগ রয়েছে তারা এই ট্যাবলেট খাওয়ার আগে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। পোস্টটি পড়ে কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝে না থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনার মূল্যবান প্রশ্নটির খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিবেন। ধন্যবাদ।