বিড়ি খাওয়া ছাড়ার উপায় | সিগারেট খেলে কি ক্ষতি হয় - cigarette er khoti

 ধূমপান বা বিড়ি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর মাধ্যমে নিজের ক্ষতির পাশাপাশি আশেপাশে থাকা মানুষেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। সব থেকে মজার ব্যাপার হলো এই সকল বিষয় জেনেও ধূমপায়ীরা ধূমপান করে থাকেন। একবার এই নেশায় আসক্ত হয়ে গেলে এখান থেকে বেরোনো অনেকটা কঠিন হয়ে যায়। এমন অনেকেই আছেন যারা ধূমপান বা বিড়ি খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার জন্য তওবা করেছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি। আজকের পোস্টে বিড়ি খাওয়া ছাড়ার উপায় বা বিড়ি খেলে কি ক্ষতি হয় এই বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করবো।তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক:-

বিড়ি খাওয়া ছাড়ার উপায় - সিগারেট খেলে কি ক্ষতি হয় - cigarette er khoti - NeotericIT.com


প্রিয় বন্ধুরা নিওটেরিক আইটির এই পর্বে আপনাদের সাথে বিড়ি খাওয়া ছাড়ার উপায়  নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো । 

সিগারেট ছাড়ার উপকারিতা। সিগারেট ছাড়ার পর দেহে কি ঘটে 

সিগারেট ছাড়ার অসংখ্য উপকারীতা রয়েছে। সিগারেট ছাড়ার কিছুদিনের মধ্যেই এই উপকারিতা গুলো আপনারা বুঝতে পারবেন। নিচে সিগারেট ছাড়ার কয়েকটি উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:-

১.শেষ ধূমপান ছাড়ার মাত্র ২০ মিনিট পর শরীরের রক্তচাপ ও নারীর গতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ধূমপানের সময় সিগারেটের নিকোটিন শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে সংক্রিয় রাখার ফলে যতটুকু বেড়ে গিয়েছিল তা আবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। 

২.একটানা ১২ ঘণ্টা যদি কোন ব্যক্তি ধূমপান না করে থাকেন তাহলে ধূমপানের কারণে শরীর যে বিষাক্ত গ্যাস গ্রহণ করেছিল তা আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে। ধীরে ধীরে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে কেননা ধূমপান করার ফলে শরীরে অক্সিজেন চলাচলে সমস্যা হয়ে থাকে। 

৩.সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বাদ ও গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা আগে তুলনায় অনেক বেড়ে যাবে। 

৪.ধূমপান বন্ধ করার মাত্র তিন দিন পর বুকের ভেতরটা অনেক হালকা মনে হবে ও শ্বাসক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। কেননা এই সময়ে শরীরে তেমন নিকোটিন থাকবে না। 

৫.ধূমপান ছাড়ার মাত্র এক মাস পরে শরীরের রক্ত চলাচল অনেক ভালোভাবে হতে শুরু করবে। তাছাড়া শরীর আগের থেকে শতকরা ৩০ ভাগ বেশি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারবে। তাছাড়া এই সময়টাতে কাশিভাব অনেক চলে যাবে। 

৬.ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার এক বছর পর হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে। তাছাড়া ১০ বছর ধূমপান না করলে একজন ধূমপায়ীর ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। 

ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

কেউ যদি হঠাৎ করে ধূমপান ছেড়ে দেয় বা বিড়ি খাওয়া ছেড়ে দেয় তাহলে তার শরীরে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অনেকে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানেন না যার কারণে অনেক ভয় পেয়ে থাকেন। নিচে ধূমপান ছাড়ার পর আপনার শরীরে কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তা উল্লেখ করা হলো:-

যারা নিয়মিত ধূমপান করে থাকেন তারা হঠাৎ করে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলে নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর শরীরে নিকোটিন যায় না যার কারণে মাথাব্যথা, বিরক্তি বা সকল সময় মেজাজ খারাপ থাকতে পারে। তাছাড়া ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর হঠাৎ করে কাশি শুরু হতে পারে। কেননা ফুসফুসে দীর্ঘদিনের জমে থাকা সর্দি এর  মাধ্যমে দূর হবে।

তাছাড়া ধূমপান হঠাৎ করে ছেড়ে দেওয়ার পর ক্লান্তি ভাব আমাদের মধ্যে আসতে পারে। ক্লান্তি ভাব আসলে ঘুমানোর পরিমাণ এক থেকে দেড় ঘন্টা বাড়িয়ে নিতে পারেন। তাছাড়া এই সময়টাতে দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করতে হবে তাহলে ক্লান্তি ভাব অনেকটা কেটে যাবে। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর অনেকে অমনোযোগী হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যাটা ধীরে ধীরে আবার দূর হয়ে যাবে। 

হঠাৎ করে কোন ব্যক্তি যদি ধূমপান ছেড়ে দেয় তাহলে তার গলায় ব্যথা ও জ্বালা ভাব শুরু হতে পারে। তাই এই সময়টাতে ফলের রস ও অন্যান্য তরল খাবার খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া অতীতে যারা ধূমপান করেছেন কিন্তু এখন ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন তাদের অনেকের ভাষ্যমতে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যাটা নাকি দেখা দিয়ে থাকে। ধূমপান ছাড়ার পর যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে তাহলে আপনারা এই সময়টাতে পর্যাপ্ত আশযুক্ত খাবার, সবজি ও তাজা ফল, ও ইসুবগুলের ভুষি খেতে পারেন তাহলে এই সমস্যাটা কেটে যাবে। 

বিড়ি খাওয়া ছাড়ার উপায় - সিগারেট খেলে কি ক্ষতি হয় - cigarette er khoti - NeotericIT.com

তাছাড়া অনেকে বলে থাকেন যে ধূমপান ছাড়ার পর তাদের ঘুম অনেক কমে গিয়েছে। তাই এই সময়টাতে আপনারা অহেতুক কোন চিন্তা না করে নিয়মিত শরীর চর্চা করার অভ্যাস গড়ে তুলবেন। আস্তে আস্তে ঘুম না হওয়ার সমস্যাটি কেটে যাবে। 

সিগারেট খেলে কি ক্ষতি হয় - বিড়ি খেলে কি ক্ষতি হয় 

সিগারেট খেলে কি ক্ষতি হয় জানুন ঃ  বিড়ি বা সিগারেট খেলে আমাদের শরীরে অনেক ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। নিচে বিড়ি খেলে কি ক্ষতি হয় বা সিগারেট খাওয়ার ফলে কি ক্ষতি হয় এই বিষয়ে কিছুটা ধারণা দেওয়া হলো:-

১.হৃদপিণ্ড ও রক্তনালীকে প্রভাবিত করতে পারে নিয়মিত ধূমপান করলে। 

২.নিয়মিত ধূমপান করলে শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে। 

৩.অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান করলে হাঁপানীর সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। 

৪.ধূমপান করার ফলে ফুসফুসের ক্যান্সার সহ নির্দিষ্ট কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। 

৫.অতিরিক্ত ধুমপান করার ফলে পুরুষদের মধ্যে ইরেক্টাইল সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। 

৬.অতিরিক্ত ধূমপান করার ফলে চুল পড়ে যেতে পারে বা টাক হয়ে যাওয়ার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। 

৭.সিগারেট বা ধূমপান করার ফলে রক্তনালী সংকোচিত হয়ে যায় ও শরীরের রক্ত চলাচলের মাত্রা অনেক কমে যায়। 

৮.নিয়মিত ধূমপান করার ফলে আমাদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অনেক কমে যায়। 

৯.ধূমপান করার ফলে মস্তিষ্কের অনেক কোষ বিকল হয়ে যেতে শুরু করে যার ফলে ব্রেনের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। 

১০.অতিরিক্ত ধূমপান করার ফলে অনিদ্রার সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। 

বিড়ি খাওয়া ছাড়ার উপায়

বিড়ি খাওয়া বা ধুমপান করা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু জেনেও আমাদের কিছু করার থাকে না। আমরা অনেকেই বিড়ি খাওয়া বাদ দিতে চাই কিন্তু শেষমেশ সেটা হয়ে ওঠে না। নিচে ধূমপান ছাড়ার কয়েকটি উপায় উল্লেখ করা হলো যার মাধ্যমে এই বদ নেশা থেকে মুক্তি পাবেন:-

নিজেক প্রস্তুত করতে হবে: যারা দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করছেন তারা যদি হঠাৎ করে এই নেশাটা ছেড়ে দেয় তাহলে তাদের শরীরে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাদেরকে ধূমপান ছাড়ার আগে অবশ্যই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। 

ধূমপান কেন ছাড়বেন কারণ খুঁজে বের করুন: ধূমপান ছাড়ার ফলে আপনার কি কি উপকার হতে পারে বা ধুমপান কেন ছাড়বেন এই কারণটা আপনার আগে খুঁজে বের করতে হবে। ধূমপান ছাড়লে আপনি হার্টের বিভিন্ন সমস্যা সহ ফুসফুসের সমস্যা থেকে খুব সহজেই রেহাই খেতে পারেন। তাই এই কারণ টাকে পুঁজি করে আপনারা ধূমপান ছাড়তে পারেন। 

ইতিবাচক থাকতে হবে: আপনি ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন তো ছেড়ে দিয়েছেন। প্রয়োজন হলে জীবন দিয়ে দিবেন তবুও ধূমপান করবেন না এমন তওবা করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে এটি জীবনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে তাহলেই এখান থেকে আপনি সফল হতে পারবেন। 

খাবারের ধরন পরিবর্তন করুন:দুপুরের খাবার রাতের খাবারের পর অনেকেই ধূমপান করতে ভালোবাসেন।তাই দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার খাওয়ার পর এমন এক স্থানে চলে যেতে হবে যেখানে ধূমপান করার কোন সুযোগ থাকবে না বা নিজেকে এই সময়টাতে অন্য কোন কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে।

অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে: অনেকেই চা কফি খাওয়ার পর ধূমপান করে থাকেন। তারা মনে করে থাকেন তা কফি খাওয়ার পর ধুমপান করলে পানীয় এর স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। তাই এই ধরনের এলকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

ব্যস্ততা বাড়াতে হবে: দিনের কোন সময় টাতে ধূমপানের ইচ্ছা বেশি জাগে সেই সময়টাকে চিহ্নিত করতে হবে। তারপরে ওই সময়টাকে নিজেকে কোনো কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। কোন কাজ না খুঁজে পেলে এই সময়টাতে হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে। তাছাড়া শরীর চর্চা করে ও পরিবারের মানুষের সাথে কথাবার্তা বলার মাধ্যমেও এই সময়টাতে নিজেকে ব্যস্ত রাখা যেতে পারে। 

ধূমপায়ী বন্ধুদের ত্যাগ করুন ও অধুমপায়ী বন্ধু বাড়ান:ধূমপান ত্যাগের জন্য অবশ্যই আপনার যে বন্ধুরা অনেক বেশি ধূমপান করে থাকে তাদের আশেপাশে থাকা অনেকটা কমিয়ে দিতে হবে। যারা ধূমপান করে না তাদের সাথে এই সময়টাতে আপনাকে বেশি সময় দিতে হবে। তাহলে সাধারণত আপনি ধূমপান বা বিড়ি খাওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন। 

মুখ খালি রাখা যাবে না:মুখ খালি থাকলে অনেক সময় ধূমপান করার আগ্রহ জেগে থাকে। তাই ধুমপান বাদ দেওয়ার মুখ খালি রাখা যাবে না। বিশেষ করে আপনারা এই সময়টাতে ক্যান্ডি বা চুইংগাম চিবাতে পারেন। 


বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন:যদি সকল চেষ্টা করার পরও আপনি ধূমপান ছাড়তে ব্যর্থ হয়ে থাকেন তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।ডাক্তার আপনাকে সঠিক পরামর্শে কিভাবে ধূমপান ছাড়তে পারবেন বা আপনাকে কি কি করতে হবে সবকিছুই বলে দিবে।

ধূমপান ত্যাগ করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য একটি প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত। যদিও ধূমপান ত্যাগ করার জন্য কোনও নিশ্চিত ঘরোয়া প্রতিকার নেই, তবে বেশ কয়েকটি কৌশল এবং জীবনধারার পরিবর্তন আপনাকে লালসা কাটিয়ে উঠতে এবং প্রত্যাহারের লক্ষণগুলি পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে। মনে রাখবেন যে ধূমপান ত্যাগ করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে এবং ব্যক্তিগত নির্দেশিকা এবং সহায়তার জন্য একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা অপরিহার্য। এখানে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার এবং কৌশল রয়েছে যা আপনি বিবেচনা করতে পারেন:


মননশীলতা এবং ধ্যান: মননশীলতা এবং ধ্যানের কৌশলগুলি অনুশীলন করা আপনাকে স্ট্রেস পরিচালনা করতে এবং লালসা কমাতে সাহায্য করতে পারে। গভীর শ্বাসের ব্যায়াম, প্রগতিশীল পেশী শিথিলকরণ, এবং নির্দেশিত চিত্রগুলি উপকারী হতে পারে।


চুইংগাম বা হার্ড ক্যান্ডি: চিনি-মুক্ত চুইংগাম বা হার্ড ক্যান্ডি মৌখিক উদ্দীপনা প্রদান করতে পারে এবং ধূমপানের তাগিদ থেকে আপনাকে বিভ্রান্ত করতে সাহায্য করতে পারে।


হাইড্রেটেড থাকুন: প্রচুর পরিমাণে জল পান করা আপনার শরীর থেকে নিকোটিন এবং টক্সিনকে ফ্লাশ করতে সাহায্য করতে পারে এবং এটি তৃষ্ণা কমাতেও সাহায্য করতে পারে।


স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস: ফল, শাকসবজি এবং বাদামের মতো স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হাতের কাছে রাখুন যাতে ক্ষুধা লেগে যায়।


শারীরিক ক্রিয়াকলাপ: স্ট্রেস পরিচালনা করতে, আপনার মেজাজ বাড়াতে এবং লালসা কমাতে সাহায্য করার জন্য নিয়মিত ব্যায়ামে জড়িত হন। এমনকি একটি ছোট হাঁটা একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য করতে পারে।


অ্যারোমাথেরাপি: কিছু সুগন্ধ, যেমন ল্যাভেন্ডার, পেপারমিন্ট বা সাইট্রাস, লোভ কমাতে এবং আপনার মনকে শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে।


ভেষজ চা: কিছু ভেষজ চা, যেমন ক্যামোমাইল বা ভ্যালেরিয়ান রুট, শান্ত প্রভাব ফেলতে পারে এবং ধূমপান ছাড়ার সাথে সম্পর্কিত উদ্বেগ পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে।


আকুপাংচার: আকুপাংচার কিছু ব্যক্তির জন্য নিকোটিনের লোভ এবং প্রত্যাহারের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে।


নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (NRT): যদিও ঘরোয়া প্রতিকার নয়, NRT পণ্য যেমন নিকোটিন গাম, প্যাচ, লজেঞ্জ বা ইনহেলার আপনাকে ধীরে ধীরে আপনার নিকোটিন গ্রহণ কমাতে এবং লোভ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। এগুলি ওভার-দ্য-কাউন্টারে পাওয়া যায় এবং একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শের প্রয়োজন হতে পারে।


সমর্থন গোষ্ঠী এবং অ্যাপস: একটি সমর্থন গোষ্ঠীতে যোগদান করা, ব্যক্তিগতভাবে বা অনলাইনে, আপনাকে এমন একটি সম্প্রদায় প্রদান করতে পারে যারা বুঝতে পারে যে আপনি কী করছেন। এছাড়াও আপনার অগ্রগতি ট্র্যাক করতে এবং অনুপ্রেরণা প্রদান করতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ রয়েছে৷


হিপনোথেরাপি: কিছু লোক ধূমপানের প্রতি তাদের মনোভাব এবং আচরণ পরিবর্তন করার উপায় হিসাবে হিপনোথেরাপির মাধ্যমে সাফল্য খুঁজে পায়।


কোল্ড টার্কি: কিছু ব্যক্তি কোনো সাহায্য ছাড়াই হঠাৎ ধূমপান ছেড়ে দিতে পছন্দ করেন। যদিও এই পদ্ধতিটি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, এটি অনেক লোকের জন্য কাজ করেছে।


ইতিবাচক শক্তিবৃদ্ধি: নিজের জন্য একটি পুরষ্কার সিস্টেম তৈরি করুন। মাইলফলক সেট করুন এবং আপনি যখন সেগুলি অর্জন করেন তখন নিজেকে উপভোগ্য কিছুর সাথে আচরণ করুন।


ট্রিগারগুলি সনাক্ত করুন: আপনার ধূমপানের ট্রিগারগুলি বুঝুন এবং সেগুলি এড়াতে বা মোকাবেলা করার কৌশলগুলি তৈরি করুন৷ উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি চাপের সময় ধূমপানের প্রবণতা রাখেন, তাহলে বিকল্প স্ট্রেস-রিলিফ কৌশল খুঁজুন।


ভিজ্যুয়ালাইজেশন: নিজেকে একজন অধূমপায়ী হিসাবে কল্পনা করুন, উন্নত স্বাস্থ্য, ভাল ফুসফুসের কার্যকারিতা এবং ধূমপানমুক্ত জীবনধারা উপভোগ করুন।

বিড়ি খাওয়া ছাড়ার অনেক উপায় আছে। এখানে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় দেওয়া হল:

আপনার ধূমপানের অভ্যাসগুলি চিহ্নিত করুন। আপনি কখন এবং কেন বিড়ি খান? একবার আপনি আপনার অভ্যাসগুলি চিহ্নিত করে ফেললে, আপনি সেগুলি এড়াতে পদক্ষেপ নিতে পারেন।

বিকল্পগুলি খুঁজুন। যখন আপনি বিড়ি খেতে ইচ্ছা করবেন, তখন অন্য কিছু করার চেষ্টা করুন, যেমন ব্যায়াম করা, জল পান করা, বা একটি চিনিমুক্ত চুইংগাম চিবানো।

আপনার সমর্থন ব্যবস্থা তৈরি করুন। আপনার বন্ধুবান্ধব, পরিবার, বা এমন কারও সাথে কথা বলুন যিনি ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করতে পারেন। আপনি অনলাইন বা আপনার স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা থেকেও সমর্থন পেতে পারেন।

ধূমপান ছাড়তে ওষুধ ব্যবহার করুন। ধূমপান ছাড়তে ওষুধ ব্যবহার করা একটি কার্যকর উপায়। অনেকগুলি বিভিন্ন ওষুধ উপলব্ধ রয়েছে, তাই আপনার জন্য সঠিক ওষুধ খুঁজে পেতে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

** ধূমপান ছাড়তে মানসিক সহায়তা নিন।** ধূমপান ছাড়তে মানসিক সহায়তা নেওয়াও একটি কার্যকর উপায়। অনেকগুলি বিভিন্ন মানসিক সহায়তা পদ্ধতি উপলব্ধ রয়েছে, যেমন কগনিটিভ-বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT) বা গ্রুপ থেরাপি।

ধূমপান ছাড়া কঠিন হতে পারে, কিন্তু এটি সম্ভব। ধৈর্য ধরুন এবং কঠোর পরিশ্রম করুন, আপনি এটি করতে পারবেন!


শেষ কথা,  আশা করি ইতিমধ্যে বিড়ি খাওয়া ছাড়ার উপায় ও বিড়ি খেলে কি কি ক্ষতি হয় এই বিষয়ে পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। তারপরও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে বা পোস্টটি পড়ে কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ। 



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url