মেয়েদের ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম | মেয়েদের ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম - meyeder eid er namaz
হ্যালো ইসলামি বোনেরা , আচ্ছালামু আলাইকুম । আশাকরি সকলে ভালো আছেন । নিওটেরিক আইটির আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে মেয়েদের ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম নিয়ে । সামনে আমাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে , সো আপনার জেনে নেওয়া ভালো মহিলাদের কিভাবে নামাজ আদায় করতে হয় । আশাকরছি এই আর্টিকেল আপনাদের উপকারে আসবে ।
মেয়েদের ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম - মেয়েদের ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম - meyeder eid er namaz - NeotericIT.com
মেয়েদের ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম
ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। দুটি ঈদই পালন হয় ত্যাহ তিতিক্ষার মাঝ দিয়ে।একটি সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে অপরটি সম্পদের ত্যাগের মধ্যে দিয়ে।এই দুই ঈদেই পুরুষ ও মহিলা উভয় ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম রয়েছে। কেননা ঈদের নামাজ আদায় করা সুন্নাত। আজ আমরা মহিলাদের ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
মেয়েদের ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) নারী ও পুরুষ উভয়কেই জামায়াতে সহিত ও পর্দার মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায়ের হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন পারাপতবয়স্ক কুমারী মেয়ে অনতপুরবাসিনী তরুণী ও ঋতুবতী নারীরা যেন বের হয় এবং ঈদের নামাজে মুসলমানদের দোয়াতে হাযির হয়। ঋতুবতী নারীরা যেন নামাজের জায়গা থেকে দূরে থাকে। সহিহ বুখারী (১/৮৪)।তাই আজ আমরা মহিলাদের ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
মহিলারা কি ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবে?
হ্যা মহিলারা ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবে। এবং দোয়া করতে পারবে। ঈদের নামাজ মহিলাদের জন্য আদায় করা বাধ্যতামূলক না কিন্তু ঈদের নামাজ সকলের জন্য আদায় করা সুন্নাত।
মহিলাদের জন্য ঈদের নামাজ পড়ার নিয়মঃ ঈদের নামাজ বছরে পড়তে হয় মাত্র দুইবার।ফলে অনেকেই এর নিয়মকানুন একটু গুলিয়ে ফেলেন।ফলে নামাজের মধ্যেই এদিক সেদিক তাকায়।যার ফলে নামাজ ভেঙে যাবে। অনেকেই কখন হাত বাধবেন কখন হাত ছেড়ে দেবেন এটা নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন।এমনকি অনেকে একবার ডানপাশে লোকেরটা অনুসরণ করেন আরেকবার বাম পাশের লোকেরটা অনুসরণ করেন। অথচ বিষয়টা খুবই সহজ। নামাজের শুরুতে আমরা যে তাকবির দেই আল্লাহু আকবার বলে তাকে তাকবীরে তাহরিমা বা প্রথম তাকবির বলা হয়। যে কোনো নামাজে এই তাকবির এবং অন্যান্য সাধারণ তাকবীরের সাথে অতিরিক্ত ৬ টি তাকবির দিতে হয়। সহজভাবে বলা যায় প্রথমে যেই ঈদের নামাজ আদায় করবেন সেই ঈদের নামাজের নিয়ত করে আল্লাহ আকবার বলে কাধ পযন্ত হাত তুলে বুকে হাত বাধতে হবে। তারপর সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআ'লা যাদদুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।ছানা পড়তে হবে। ৩ বার আল্লাহু আকবার বলে তাকবির বলতে হবে।প্রথম দুইবারে কাধ পযন্ত হাত তুলে ছেড়ে দিতে হবে এবং তিন বারে হাত বাধতে হবে। এবং প্রতি তাকবিরের পর তিন বার সুবাহানাকা বলার সময় থামতে হবে। তারপর সূরা ফাতিহার সাথে যেকোনো একটি সূরা পড়তে হবে। তারপর সাভাবিক নামাজের মতো করেই রুকু ও সিজদা করে দীতিয় রাকাতের জন্য উঠে দাড়াতে হবে। সুরা ফতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়ে ৩ বার আল্লাহু আকবার পড়ে ৩ টি তাকবির সম্পন্ন করতে হবে। পরতিটি তাকবিরের জন্য হাত ছেড়ে দিতে হবে এবং ৪থ তাকবিরে আল্লাহু আকবার বলে হাত না বেধে রুকু করতে হবে। এবার তাশাহহুদ দরূদ দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে ঈদের নামাজ শেষ করতে হবে।
বিশেষ দরষটব্যঃ ঈদের নামাজে ১ম রাকাতে সুরা আলা এবং ২য় রাকাতে সুরা গাশিয়াহ পাঠ করা সুন্নত। মহিলারা ঘরে একা বা নিজের ঘরের মা বোনদের সাথে নিয়ে বা কয়েক বাড়ির মহিলাদের সাথে নিয়ে একসাথে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারে।করো বাড়িতে জামাত করে সালাত আদায় করা বিদাত।ঈদের দিনে মহিলাদের ঈদগাহে যেতে রাসুল সাঃ বিশেষ ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। কারন এতে করে মহিলারা ঈদের মাঠে তাকবির ও দোয়াতে শরিক হতে পারে।
মহিলাদের ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত ও নিয়মঃ
দীর্ঘ এক মাস পবিত্র রমজানের রোজা রাখার পর পালিত হয় ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতর মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের প্রথম বড় ধর্মীয় উৎসব। ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত নিচে দেওয়া হল
উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান উসাললিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকাতায় সালাতি ঈদুল ফিতর মায়া ছিততাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুললাহি তায়ালা মুতাওয়াজজিহাব ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার
অর্থঃ আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর সনতুষটির জন্য অতিরিক্ত ছয় তাকবীরের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের দুই রাকআত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবর।