১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস নিয়ে কবিতা, ছন্দ, স্ট্যাটাস , উক্তি , চিঠি, বক্তব্য ইত্যাদি
প্রিয় ভিউয়ার আজকের নিওটেরিক আইটির নতুন পোস্টে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস নিয়ে কবিতা, ছন্দ, স্ট্যাটাস , উক্তি , চিঠি, বক্তব্য ইত্যাদি নিয়ে আলচনা করা হবে । আপনাদের কাঙ্কিত তথ্যের জন্য আপনি এই আর্তিকেলটা শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন । কারন এই আর্টিকেল আপনাদের জন্য একতা পরিপুর্ন আর্টিকেল হতে যাচ্ছে । ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বাঙ্গালী জাতির জন্য এক সবরনীয় দিন এই দিনে বাংলাদেশ বিজয়ী হয়েছিল । তাই এই দিনে সবাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে চাই সবাইকে ।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস নিয়ে কবিতা, ছন্দ, স্ট্যাটাস , উক্তি , চিঠি, বক্তব্য ইত্যাদি - mohan bijoy dibosh - NeotericIT.com
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস নিয়ে কবিতা, ছন্দ, স্ট্যাটাস , উক্তি , চিঠি, বক্তব্য ইত্যাদি নিয়ে এই আর্টিকেল অনেকে অনেক কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে খুজা খুজি করে থাকেন কিন্তু সঠিক তথ্যা না থাকায় অনেক ওয়েবসাইটে গিয়ে ও অন্য একটা ওয়েবসাইটে ভিসিট করতে হয় । কিন্তু আজকের এই পোস্টে আমরা সবগুলো বিস্তারিত আলোচনা করব । আপনারা কেন এই দিবস পালন করছেন কোত্তেকে এর ইতিহাস এবং সুন্দ্রর স্ট্যাটাস ও কথা ফেইসবুকে শেয়ার করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানালে আপনার লাভ কি এমন সব প্রশ্নের উত্তর এই পস্টে হ্যান্ডেল করা হবে । চলুন শুরু করি একে একে ।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস কবিতা
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস কবিতা দিয়ে এই পোস্টের মূল পর্ব শুরু করছি । আপনারা যারা বিজইয় দিবস নিয়ে কাউকে কিছু বলতে যাবেন তখন আপনার মাথায় এ সম্পর্কে সঠিক তথ্যা থাকতে হবে । নাহলে আপনি কোন একটা কথায় আটকে যাবেন । আপনি যদি কোন একটা অনুষ্টানে এ দিন সুন্দর একটা কবিতা বলে শোনাতে পারেন সবাইকে তাহলে আপনার সম্পর্কে সবার মনে একটা সঠিক ধারনার জন্ম দিবে । তাই আজকের এই পোস্টে আপনার জন্য থাকছে মহান বিজয় দিবস সম্পর্কিত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস কবিতা ।
৭১’এর এই দেশেতে
হানাদার হানা দেয়।
দেশকে স্বাধীন করতে বাঙ্গালী
অস্ত্র তুলে নেয়।
৭১’এর এই দিনেতে
হয় সীমাহীন যুদ্ধ।
যার কাহিনী শুনলে মোদের
শ্বাস হয়ে যায় রুদ্ধ।
৩০ লক্ষ শহীদ আর
মা-বোনের বিনিময়।
স্বাধীন বাংলাদেশ এর ঘটে
উদার অভ্যূদয়।
বাংলাদেশে পাক-শাসনের আসন যেদিন টলে,
সেদিনটাকে আজকে সবাই ‘বিজয় দিবস’ বলে।
বিজয় কিন্তু অনেক দামী; সহজলভ্য নয়।
মুক্তিসেনা বিজয় আনে জয় করে সব ভয়।
লাল সবুজের পতাকাটার আজকে খুঁটি শক্ত;
আনতে সেটা,বীর সেনারা দিয়েছিলো রক্ত।
বাংলা মায়ের বীর ছেলেরা ভয় পায়না মোটে।
তাদের ত্যাগে মোদের মুখে বিজয় স্লোগান ফোটে।
বিজয় দিবস রক্তে ধোয়া,বীর শহীদের স্মৃতি।
বিজয় নিয়েই আজকে লেখা-কবিতা আর গীতি।
বিজয় মাখা ফুলে-পাতায়,বিজয় সবুজ ঘাসে।
বছর ঘুরে এদিন যেন বারে বারে আসে!
ফিরে এল বিজয় দিবস
নেইতো খোকা ঘরে,
সেই যে গেল আর এলোনা
যুদ্ধে একাত্তরে।
স্বপ্ন বোনে পাগলী মা’টা
ফিরবে খোকা কবে,
ফুলেল মালা গলে দিবে
ফুল ঝরে যায় টবে।
ছেলে আসবে,আসবে ছেলে
পাগলী মা’টা চ্যাঁচায়,
পাগলী মা’টা রুক্ষ সুক্ষ
যত্ন নিতে কে চায়?
প্রতিবারে বছর শেষে
বিজয় যখন আসে,
ছেলে হারা পাগলী মা’টা
দাঁত খিলিয়ে হাসে।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ছন্দ
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ছন্দ সম্পর্কে খুজার জন্য অনেকে গুগলে সার্চ করে থাকেন । তবে আপনি যদি সঠিক তথ্যাপূর্ন ওয়েবসাইটে ভিসিট করতে না পারেন তাহএল আপনি সারাদিন খুজাখুজি করলেও কোন লাভ হবে না । তাই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য মহান বিজয় দিবস ১৬ ই ডিসেম্বর নিয়ে কিছু সুন্দর ও সেরা অনলাইনের বাছায় করা বিজয় দিবস ছন্দ নিয়ে হাজির হয়েছি । চলুন দেখে আসি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ছন্দ গুলো ।
বাংলা মোদের বিজয় ধ্বনি
বাংলা অহংকার
বাংলা মোদের মাতৃভূমি
বাংলাই সংসার।
তোমার পরেই মাথা রাখি
তোমার পরেই বুক
দেখলে তোমায় দূর হয়ে যায়
শত ক্লান্তির দুঃখ।
লক্ষ শহীদ, লক্ষ গাজী
তোমারই সন্তান
খোদা তাঁদের দিয়েছে জবান
বাংলায় গায় গান।
সুখও তুমি, দুখও তুমি
সবকালেরই সাথী
গোলাপ,জবা, বকুল ফুলের
তাইতো মালা গাঁথি।
কত সাধনা! শত ভাবনা
তোমার পানেই ছোটে
তাইতো তোমার গানগুলো আজ
সব বাঙালির ঠোঁটে।
সুখ হাসি আর তৃপ্ত এ প্রাণ
তোমায় স্বাধীন পেয়ে
সুখপাখি আর রংধনু আজ
গোটা বাংলায় ছেয়ে।
বাংলায় প্রাণ, খোদা দিয়েছেন
যুদ্ধদীপ্ত সাহস
বাংলার আকাশ উদ্দেলিত
আজ প্রিয় বিজয় দিবস।
কালের চাকা ঘুরে ঘুরে
আসে বিজয় মাস
ঠোঁটের ফাঁকে আলোচনা
দীর্ঘ ইতিহাস ৷
হঠাৎ করে পাক বাহিনী
হামলা করে খুব
বীরের জাতি গর্জে ওঠে
কেউ থাকেনি চুপ ৷
রক্ত সাগর পাড়ি দিয়ে
শেষে এলো জয়
সবার বুকে শান্তি এলো
নেই কোন আর ভয় ৷
নয়টি মাস ওই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে
দেশকে স্বধীন করলো যারা
পাক-হানাদার বাহিনীদের ব্যর্থ করে
স্বার্থকতা আনলো তারা।
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে নতুন করে
রঙিন স্বদেশ গড়লো যারা
জুলুমবাজির রুদ্ধ বাধার প্রাচীর হয়ে
জীবনবাজি রাখলো তারা।
স্বধীনতার স্বপ্ন নিয়ে ঐক্য হয়ে
অস্ত্র হাতে ধরলো যারা,
যাদের ত্যাগে লাল-সবুজের কেতনখানি
রাখলো ধরে উচ্চ চূড়া।
একটি সাগড় রক্তক্ষরণ করলো যারা
হয়নি কভু ক্ষান্ত ওরা
তাদের লাগি বুক ফুলিয়ে গর্ব করি
ধন্য সবাই ধন্য ওরা।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস স্ট্যাটাস
যারা নিয়মিত ফেইসবুক ও সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে তাদের প্রয়োজন সুন্দর কিছু স্ট্যাটাস যাতে তারা ফেইসবুকে শেয়ার করতে পারেন । এই মহান দিনে আপনি সুন্দর একটা স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাবেন না এইটা কি করে হয় । তাই আপনার জন্য সুন্দর কিছু স্ট্যাটাস নিয়ে হাজির হয়েছে নিওটেরিক আইটি যাতে আপনি আপনার সোশাল মিডিয়া একাউন্টে শেয়ার বা পস্ট করতে পারেন্ন । ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস স্ট্যাটাস দেখুন এই পেইজে ।
বিজয় মানে একটা মানচিত্র, বিজয় মানে লাল সবুজের পতাকা, বিজয় মানে একটা গর্বিত জাতি, বিজয় মানে অস্তিত্বে বাংলাদেশ। বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে এই গর্বিত জাতি গড়ার সকল কারিগরকে মন থেকে জানাই শুভেচ্ছা।
প্রশ্নবিদ্ধ স্বাধীনতাকে উত্তরে মেলাবার আজই তো সময়, লক্ষ কন্ঠে সোনার বাংলায় খুঁজে পাই প্রাণের আস্বাদ। সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
আপনার সম্মান তখন বাড়বে। যখন বিদেশে গিয়ে আপনি নিজের দেশের সম্মান বাড়াতে পারবে। আর গর্বিতভাবে বলতে পারবেন, আমি বাংলাদেশী।
আপনার বা আপনার পরিবারের অসম্মানে আপনার যতটা কষ্ট হবে। তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট এবং রাগ হবে আপনার দেশের অসম্মান হলে। তাই সর্বদা দেশকে সম্মান করুন এবং দেশের সম্মান রক্ষায় ব্রতী থাকুন। সবাইকে বিজয় দিবস উপলক্ষে লাল সবুজের শুভেচ্ছা।
আসুন আজ আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করি যে, আমরা সব অন্যায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব, সবাইকে আমাদের দেশের মহত্ত্ব বোঝাব, সঠিক অর্থে আমরা একজন বাংলাদেশী হয়ে উঠব। শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ।
মহান বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর, জাতির অহঙ্কার,
এ বিজয়কে রাখবো সমুন্নত, এই হোক অঙ্গীকার।
একাত্তরে সাড়ে সাতকোটি বাঙালি হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ,
২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়, ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ।
ত্রিশলক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল বিসর্জন,
অবশেষে হানাদার পাকিস্তানবাহিনী করলো আত্মসমর্পণ।
বীর বাঙালিদের কাছে তারা করেছিল শির অবনত,
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালাভ করেছে, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব।
মুক্তিকামী জনতা প্রায় খালি হাতে, দাঁড়িয়েছিল রুখে!
জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাষাণ বেঁধে বুকে।
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা;
ভুলবো না সেই দুঃসাহসী বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের কথা।
জীবন উৎসর্গ করে উপহার দিয়েছে লাল-সবুজের পতাকা,
এনেছে ৫৬হাজার বর্গ মাইলের স্বাধীন বাংলার সীমারেখা।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ;
এত বছর পরেও কি করতে পেরেছি তাদের স্বপ্ন পূরণ?
দূর করতে হবে বৈষম্য বিভাজন, চাই অর্থনৈতিক মুক্তি,
রুখতে হবে সকল বঞ্চনা, আছে ষোল কোটি জনশক্তি।
লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত গৌরবময় এ বিজয়,
সকলে মিলে গড়বো দেশ, মানবো না কোনো পরাজয়।
এই বিজয়ের দিনে শীর্ষ রাজাকার গুলোকে যদি মীরপুর চিড়িয়াখানার বাঘের খাঁচায় ছেড়ে দেয়া যেতো , র কোটি কোটি বাঙালি খাঁচার বাইরে দাঁড়িয়ে দেখতো বাংলার বাঘের মতো সাহসী সন্তান দের হত্যাকারী দের নির্মম মৃত্যুর আনন্দ যজ্ঞ ।
জয় বাংলা, স্লোগানে ১৯৭১ এর বধ্যভূমি মীরপুরের বাতাস প্রকম্পিত হতো ,যার রেশ ছড়িয়ে পড়তো পুরা বাংলায় মিছিলে মিছিলে …। এই জীবনে র কোন সুন্দর দৃশ্য না দেখলেও কোন আফসোস থাকতো না । বিজয়ের শুভেচ্ছা সবাই কে তবে উদযাপন জমা থাকর এক বিজয়ের জন্য ।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উক্তি
এই পর্বে আপনারা জানতে পারবেন ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উক্তি সম্পর্কে । ইতিমধ্যে নিওতেরিক আইটিতে বিজয় দিবস নিয়ে অনেক আর্টিকেল লিখা হয়ে গেছে চাইলে সেই আর্টিকেল গুলো পড়ে আসতে পারেন । মহান বিজয় দিবস নিয়ে অনেক উক্তি রয়েছে যা পরলে আপনার অনেক ভালো লাগবে এবং আপনি কোন কথায় বা বক্তব্যে সেই উক্তি গুলো বলে আপনার বক্তব্যের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে পারবেন । চলুন একে একে আমরা দেখে আসি সেই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উক্তি গুলো । বিখ্যাত ব্যাক্তি বর্গ রা অনেক সুন্দর কিছু কথা লিখে গেছিলেন বিজয় দিবস নিয়ে সেই সব কিছু উক্তি শেয়ার করা হলো আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে ।
- "বিজয় সর্বদা একটি সম্ভাবনা - তবে এটি তখনই ঘটে যখন আপনি এটিকে আপনার বাস্তবতা করার সিদ্ধান্ত নেন। - স্টুয়ার্ট স্টাফোর্ড"
- "নাগরিক হিসাবে আমার প্রথম বিজয়, আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনের পাশে দাঁড়িয়েছি। - ড.পি.এস. জগদীশ কুমার"
- "এমনকি আপনি যখন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তখনও ঈশ্বর আপনাকে বিজয়ের পথে নিয়ে যাবেন। - উপহার গুগু মোনা"
- "গতকালের পরাজয় আগামীকালকের বিজয়। - ক্রিস্টিনা এঙ্গেলা"
- "কিছু বিজয় তাদের মতো মিষ্টি স্বাদ পায়নি। - মরগান রোডস"
- "সমস্ত বিজয়ের গোপনীয়তা অপরিবর্তিতদের সংগঠনে থাকে। - মার্কাস অরেলিয়াস"
- “বিজয় সবচেয়ে ধৈর্যশীল। – নেপোলিয়ন বোনাপার্ট”
- “বিজয় কেবল তাদের তৈরির জন্য আসে, এবং এটি গ্রহণের জন্য। – টম ক্ল্যান্সি”
- “সমস্ত বিজয়ের গোপনীয়তা অপরিবর্তিতদের সংগঠনে থাকে। – মার্কাস অরেলিয়াস”
- “বিজয় যখন আরও বেশি অর্থবহ হয় তখন তা কেবল একজনের কাছ থেকে আসে না, অনেকের সম্মিলিত সাফল্য থেকে আসে। – হাওয়ার্ড শুল্টজ”
- “সহজ বিজয়গুলি সস্তা। যারা কেবল লড়াইয়ের ফলস্বরূপ আসে তারাই মূল্যবান। – হেনরি ওয়ার্ড বিচার”
- “বিজয় তাদের অন্তর্ভুক্ত যারা এটিকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে। – রান্ডাল ওয়ালেস”
- “বিজয় হ’ল সমস্ত স্বপ্ন যা আপনার স্বপ্ন অর্জনে চলেছে তার স্বীকৃতি দেওয়া। – টমি হিলফিগার”
- “যে ব্যক্তি লড়াই বন্ধ করতে অস্বীকার করে তার পক্ষে সর্বদা বিজয় সম্ভব হয়। – নেপোলিয়ন হিল”
- “জীবনে বিজয়ের জন্য, আমাদের লক্ষ্যতে মনোনিবেশ করতে হবে। – ল হোল্টজ”
- “সহিংসতার দ্বারা বিজয় অর্জন ক্ষণিকের জন্য ও পরাজয়ের সমতুল্য। – মহাত্মা গান্ধী”
- “সমবেদনা আত্মাকে তার সত্যিকারের বিজয়ের মুকুট দেয়। – আবারজানি”
- “পরাজয়ের বিরুদ্ধে জয় রক্ষার জন্য বিজয়ী আইন তৈরি করেন। – টোবা বিটা”
- “প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল একটি বিজয়, তাকে এটা মনে রাখতে হবে। – জর্জ স্যান্ডার্স”
- “দৃষ্টি না থাকলে বিজয় হয় না। – লাইলাহ গিফটি আকিতা”
- “বিজয়ী যোদ্ধারা প্রথমে জিতে এবং তারপরে যুদ্ধে যায়, পরাজিত যোদ্ধারা প্রথমে যুদ্ধে যায় এবং তারপরে জয়ের চেষ্টা করে। – সান তজু”
- “বিজয় সবসময়ই বিটসুইট। – নাদিয়া স্ক্রিভা”
- “কিছু বিজয় তাদের মতো মিষ্টি স্বাদ পায়নি। – মরগান রোডস”
- “আপনার প্রথম বিজয় আপনার সুখ খুঁজে পাওয়া এবং আপনার দ্বিতীয় বিজয় অন্যের সুখ খুঁজে পাওয়াতে হয়। – জগদীশ কুমার”
- “আমাদের পাপ ঈশ্বরের হৃদয়কে দুঃখ দেয় এই বিষয়টির চেয়ে আমরা পাপের উপর আমাদের নিজের “বিজয়” সম্পর্কে বেশি উদ্বিগ্ন। – জেরি ব্রিজ”
- “কালো রঙের অত্যধিক শক্তি, সাদা কালো উপর চূড়ান্ত বিজয়। – দেজন স্টোজনোভিচ”
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস চিঠি
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস চিঠি খুজছেতেছন আপনার বন্ধু বা বান্ধবিকে পাঠানোর জন্য । তাহলে এই পেইজের এই আর্তিকেলে আপনার জন্য । আপনি এই আর্টিকেল থেকে আপনার প্রিয় বন্ধুকে চিঠি লিখতে পারবেন মহান বিজয় দিবস সম্পর্কে । আপনার বন্ধু যদি অনেক দূরে কিংবা দেশের বাইরে থাকেন তাহলে আপনার প্রয়োজন সুন্দর একটা চিঠি পাঠানো এই মহান দিনে । তাই আপনাদের সেই চিঠি পাঠানোর কাজ সহজ করে দেওয়ার জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমি রেডিমিট কিছু চিঠি শেয়ার করলাম আপনি চাইলে এই চিঠি গুলো কপি করে আপনার সেই প্রিয় বন্ধুকে পাঠাতে পারেন কিংবা আমাদের দেওয়ার এই চিঠি গুলো থেকে ধারনা নিয়ে নতুন একটা চিঠি লিখে আপনার সেই দুরান্দের প্রিয় বন্ধুকে পাঠাতে পারেন । চলুন দেখে আসি আমাদের সেই চিঠি গুলো ।
লালবাগ, ঢাকা ।
১৮ ডিসেম্বর ২০২০
প্রিয় মালা
আমার আন্তরিক ভালােবাসা ও বিজয়ের শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তােমার পত্র পেয়েছি । পত্র পাঠে তােমার বিস্তারিত কুশল সংবাদ জেনে চিন্তা মুক্ত হলাম। এবারের বিজয় দিবস আমরা কিভাবে উদযাপন করেছি তা জানতে চেয়েছ । আমাদের জাতীয় জীবনের এরূপ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনের কথা জানতে চাওয়ায় তােমাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। বস্তুত ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গৌরবের দিন, আনন্দের দিন, আবার বেদনারও দিন । আজ আমি আমাদের কলেজে উদ্যাপিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে তােমাকে কিছু লিখতে চাই।
এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে আমরা কলেজ প্রাঙ্গণে সমবেত হই । মাইকে বেজে ওঠে জাতীয় সংগীত ‘আমার সােনার বাংলা আমি তােমায় ভালােবাসি...' । অধ্যক্ষ মহােদয় স্বাধীনতার প্রতীক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সােনালি সূর্যের দীপ্ত হাসিতে ভরে ওঠে প্রকৃতির আঙিনা । আমরা দাঁড়িয়ে সসম্মানে জাতীয় পতাকাকে সালাম জানাই। অতঃপর এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে। অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহিদদের বিদেহী আত্মার প্রতি। দেশ ও জাতির সার্বিক মঙ্গল ও কল্যাণের জন্য আমরা সবাই মিলে দৃঢ় শপথ গ্রহণ করি। এরপর সকাল আটটায় শুরু হয় কলেজের বয়স্কাউটদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিবসটির প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানমালা । দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় সকাল ১১টায় । দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল। কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবােধক গান, বিজয় দিবসের তাৎপর্যের ওপর আলােচনা এবং উপস্থিত বক্তৃতা । বিকালে কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। এতে অংশগ্রহণ করে প্রথম বর্ষ এবং দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা। সন্ধ্যায় কলেজ প্রাঙ্গণ আলােকসজ্জায় সজ্জিত। করা হয়। সন্ধ্যা সাতটায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে মঞ্চস্থ হয় মুনীর চৌধুরীর বিখ্যাত নাটক ‘কবর’ ।
সব মিলিয়ে এবারের বিজয় দিবস উদযাপন খুবই উপভােগ্য হয়েছে । তােমাদের কলেজে কীভাবে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে তা জানালে খুশি হব। তােমার পত্রের অপেক্ষায় রইলাম। আজ আর নয় । ভালাে থেকো ।
ইতি
তােমার প্রতিধন্য
কুসুম।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য
এই মহান দিনে ভিবিন্ন সেমিনার বা অনুষ্টানে আপনার সুন্দর একটা বক্তব্য আপনার ব্যাক্তিতব কে ফুটিয়ে তুলবে । আপনি চাইলে সুন্দর একোতা বক্তব্য আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে শিখে গেলে আপনি সবার সম্মুখে বক্তব্য দিলে সবার সামনে আপনি সম্মানিত হবেন । তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য নিয়ে হাজির হলাম ।
সম্মানিত উপস্থিতি ।
আজকে আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করছি বিজয় দিবস । কিন্তু এই বিজয় দিবস এমনি এমনি আসেনি । এর জন্য ১৯৭১ সালে আমাদের যুদ্ধ করতে হয়েছে । দীর্ঘ ন’মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পেয়েছি আমরা আজকের এই বিজয় । আজকের এই প্রিয় বাংলাদেশ ।
আমরা যদি ইতিহাসের বই পত্রে নজর দিই, আমরা যদি একটু পিছন ফিরে তাকাই তাহলে স্পষ্ট দেখতে পাই ,
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় পূর্ব বাংলাকে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে । ক্ষমতার কলকাঠি ছিল তাদের হাতে কুক্ষিগত । তাদের জুলুম নির্যাতনের স্টিম রোলার বাড়তে থাকে । বিশেষ করে ১৯৭১ এর ২৫ শে মার্চ রাতে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে অস্ত্র-শস্ত্রে সুসজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী । সবুজ শ্যামল মাটি সিক্ত হয় নিরীহ মানুষদের তাজা রক্তে ।ঐ হিংস্রতা ,ঐ বর্বরতা ,ঐ অন্যায় আগ্রাসনে মুখ বুঝে সহ্য করেনি বাংলার সর্বস্তরের মানুষ । যার যা আছে তাই নিয়েই প্রতিরোধে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিনিয়ে আনে কাঙ্খিত বিজয় ।