তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় | ডায়াবেটিস কমানোর খাবার | ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায়
ডায়াবেটিস মূলত একটি বিপাকজনিত রোগ । এটা হচ্ছে আমাদের শরীরে যদি ইনসুলিন নামক একটা হরমোন সবসময়ই থাকে । এটা যদি পরিমাণ কমে যায় তখন বিভিন্ন ধরনের বিপাক এর ত্রুটি দেখা দেয় এবং এগুলোর জন্য তখন শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যেতে থাকে । এবং এটাকে আমরা ডায়াবেটিস হিসেবে বলতে পারি এটা বাদে ডায়াবেটিস রোগ । আরেকটু যদি বলা যায় ডায়াবেটিস কিন্তু আরেকটু একটু আমরা প্রকারভেদ যদি বলতে বলতে চাই সে ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারব যে ডায়াবেটিস টাইপ ওয়ান টাইপ টু ডায়াবেটিস আছে। টাইপ ওয়ান এটা সবসময় ইনসুলিনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে আমাদের আর টাইপ টু ডায়াবেটিস হয়েছে আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবন থেকে নিয়ন্ত্রণে জীবনে নিয়ে আসতে হবে । পাশাপাশি হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস সুন্দর একটি খাদ্যাভ্যাসে আমাদেরকে চলতে হবে সেভাবে আমরা আমাদের ডায়াবেটিস থাকে কন্ট্রোলে রাখতে পারব । ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায় জানতে পারবেন নিওটেরিক এই নতুন আর্টিকেল থেকে ।
চিকিৎসা বিজ্ঞান যত উন্নত হচ্ছে, ততই প্রতিদিন আরও বেশি সংখ্যক মানুষের ডায়াবেটিস ধরা পড়ছে।একটা গবেষণা বলছে যে, ডায়াবেটিস আজ বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি রোগের মধ্যে একটি। প্রতি ১০ সেকেন্ডে বিশ্বের কোথাও না কোথাও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একজন মারা যায় এবং প্রতি ১০ সেকেন্ডে দুইজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। সুতরাং, ডায়াবেটিসের ভয়ানক পরিণতি বন্ধ এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যা করা দরকার তা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস বা খুব বেশি প্রস্রাব করা পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং সুস্থ জীবন যাপন করা যায়। ডায়াবেটিস কমানোর অনেক উপায় রয়েছে।
তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস বা বহুমূত্ররোগ কমানোর জন্য কয়েকটি উপায় জেনে নিন নিওটেরিক আইটির এই পর্ব থেকে । অথবা আপনি যদি ডায়াবেটিস থেকে নিজেকে ভবিষ্যতে মুক্ত রাখতে চান তাহলে ও আপনি নিছের অভ্যাস গুলো করার চেষ্টা করুন ।
নিয়মিত হাঁটা
একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির নিয়মিত প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত। এই হিসেবে আপনাকে সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট হাঁটতে হবে। আপনি চাইলে নিয়ে প্রতিদিন সকাল ও বিকাল শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন।
দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করা
আপনাকে অবশ্যই দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করতে হবে। দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হয়।
ধূমপান পরিহার করা
আপনাকে অবশ্যই ধূমপান পরিহার করতে হবে যদি তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমাতে চান। এছাড়া অন্যান্য নেশা জাতীয় অভ্যাস থাকলে সেগুলো খুব দ্রুত পরিহার করতে হবে।
ফাস্টফুড পরিহার করা
ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলকভাবে ফাস্টফুড পরিহার করতে হবে। যদিও ফাস্টফুড অনেক মুখরোচক। তবুও ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে ফাস্টফুড পরিহার করতে হবে।
গ্রিন টি পান
ডায়াবেটিস রোগ থেকে খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত সবুজ চা পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করা
বাদাম ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। বাদাম আমাদের দেহের রক্ত থেকে সুগারের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। বাদাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণভাবে কাজ করে থাকে।
সামুদ্রিক মাছ খাওয়া
খুব দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায় এর মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হল নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার সাধ্যমত চেষ্টা করা। তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর সেরা উপায় এটি।
শস্যদানা জাতীয় খাবার খাওয়া
শস্য দানা জাতীয় খাবার ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারী। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মটরশুটি। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক উপকারী।
নিয়মিত সালাদ খাওয়া
ডায়াবেটিস থেকে খুব তাড়াতাড়ি রেহাই পেতে চাইলে নিয়মিত তিন বেলা খাবারের সাথে সালাদ খেতে হবে। সালাদ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। সেটা যে কোন সালাদ হতে পারে। যেমন, শসা পেঁপে টমেটো। এছাড়া আমরা নিচে ডায়াবেটিস কমানোর খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া
ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরামর্শ দিব আপেল সিডার ভিনেগার খেতে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই উপকারী এটি। ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে চাইলে এটি নিয়মিত খেতে পারেন। তো এই ছিল তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর বেশ কয়েকটি উপায়। এবার আমরা জানবো ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে।
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ওষুধে পার্শপ্রতিক্রিয়া থাকায় অনেকে ঔষধ সেবন করতে অনিচ্ছুক । তারা ঔষধ ছাড়াই নিজেকে ডায়াবেটিস মুক্ত রাখতে চাই । তারা চাইলে নিছের পদ্ধতি গুলো অনুসরন করতে পারেন । এতে আপনি ডায়াবেটিস নামক রোগ থেকে রেহায় পাবেন কোন ঔষধ ছাড়াই ।
ডায়াবেটিস কমাতে তেতো স্বাযুক্ত খাবার
ডায়াবেটিস কমানোর ঔষধ হলো তেতো জাতীয় খাবার। এ ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে উচ্ছে, করলা ও নিম পাতা ইত্যাদি। ডায়াবেটিস কমাতে এসব খাবারের কোন বিকল্প নেই। এ ধরনের মধ্যে এমন পদার্থ রয়েছে যেটি আপনার রক্তের শর্করা কমিয়ে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এসব খাবার জুস হিসেবে তৈরি করে নিয়মিত খেতে পারেন যেটা আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবে। এভাবে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানো যায়।
ডায়াবেটিস কমাতে দারুচিনি
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী আরেকটি মসলার নাম হচ্ছে দারুচিনি। এটি ডায়াবেটিসের জন্য অত্যন্ত কার্যকর একটি মসলা। প্রাচীনকাল থেকেই মসলাটিকে ডায়াবেটিসের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি ডায়াবেটিসের জন্য দারুনভাবে কাজ করে থাকে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা চাইলে দারুচিনি তরকারি হিসেবে খেতে পারে। এছাড়া দারুচিনি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পানি খেলে ডায়াবেটিসের জন্য অনেক কাজে দেয়। দারুচিনি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি।এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করে কার্যকরভাবে। এটি রক্তের সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস কমাতে মেথির ব্যবহার
ডায়াবেটিস কমাতে দারুচিনির মধ্যে আরেকটি কার্যকরী মসলা হলো মেথি। এটিও ডায়বেটিস প্রতিরোধে দারুনভাবে কাজ করে থাকে। মেথি থেকে ডায়াবেটিস রোগীরা প্রাকৃতিক ইনসুলিন সরবরাহ করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের মেথি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। দারুচিনির মতই আপনি চাইলে প্রতিদিন রাতে ১-২ মেথি এক গ্লাস পানিতে ভিজে সকালে খালি খাইতে পারেন। টি ভেজানো পানি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী এবং এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
ডায়াবেটিস কমাতে কারিপাতার ব্যবহার
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর জন্য প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর মধ্যে কারিপাতা অন্যতম একটি। এটি ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা খেলে রোগীদের টার্চ বা গ্লুকোজ ভাঙ্গার হার কমিয়ে দিয়ে থাকে। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর।
ডায়াবেটিস কমাতে জামের বীজের ভূমিকা
জামের বীজ ডায়াবেটিস কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এতে এমন ধরনের পদার্থ রয়েছে যেটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর জন্য জামের কালো বীজ সুপার ফুড হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। জামের বীজ রক্তে ও প্রসাবে সুগারের মাত্রা কমিয়ে থাকে। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। এতে রয়েছে অ্যান্টোসায়ানিনস, এলাজিক অ্যাসিড ও হাইড্রোলাইজেবল ট্যানিনস জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস।
ডায়াবেটিস কমাতে কফির ভূমিকা
ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিয়মিত কফি পান করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। তাই নিয়মিত দিনে তিনবার কফি পান করুন এবং ডায়াবেটিস থেকে নিয়ন্ত্রিত থাকুন। তবে কফি খাওয়ার পূর্বে একটি সতর্কতা অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে। সেটি হল দুধ ও চিনির ব্যবহার ভুলেও করা যাবে না।
ডায়াবেটিস কমাতে টক দই
ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিস কমানোর অন্যতম আরেকটি উপাদান হলো টক দই। টক দই একটি উপকারী খাবার। ইট ইজ এমন একজন মানুষের শরীরের সুষম খাবারের চাহিদা পূরণ করে তেমনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। টক দই ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সুপার ফুড হতে পারে। কারণ এটি আমাদের রক্তের সুগারের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
ডায়াবেটিস কমাতে লেবু
লেবু খেতে আমরা সবাই কম বেশি ভালোবাসি। তবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সুখবর হচ্ছে এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন সকালে চিনি ছাড়া খালি পেটে যদি লেবুর রস বা শরবত খান তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
ডায়াবেটিস কমাতে মটরশুঁটি খান
মটরশুটি ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী। এটি সকল প্রকার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ মটরশুটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন উচ্চমাত্রায় শর্করা, ফ্যাটলেস প্রোটিন এবং খাদ্য-আঁশ যা আমাদের শরীরের রক্তের সুগার বা শর্করা কমিয়ে থাকে।
ডায়াবেটিস কমাতে শাকসবজি খান
ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিস কমানোর অন্যতম একটি সেরা এবং সহজ উপায় হলো নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাওয়া। সোনা দেখা গেছে নিয়মিত শাক-সবজি খেলে আপনার ডায়াবেটিস কমে যাবে প্রায় ১৪ শতাংশ। সবুজ শাক সবজি সকল মানুষের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখা উচিত।
খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
খালি পেটে ডায়াবেটিস কমাবেন যেভাবেঃ প্রতিদিন সন্ধ্যায় এক গ্লাস পানিতে এক টুকরো দারুচিনি রেখে সারারাত ভিজিয়ে থাকতে দিয়ে সকালে দারুচিনির পানি পান করুন। সকালে খালি পেটে এই খাওয়ার ফলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়।
খালি পেটে ডায়াবেটিস কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিনি ছাড়া লেবুর রস ও পানি মিশ্রণ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি কার্যকরী। এই দুটি উপায়ে খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানো যায়।
ডায়াবেটিস কমানোর খাবার
ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার অনেক উপায় রয়েছে, যেমন ওষুধ খাওয়া এবং নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করা। কিন্তু আপনি যাই করুন না কেন, আপনি যদি খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তবে এটি কাজ করবে না। সুতরাং, এই খাবারগুলি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা উচিত, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে এবং এটি যথেষ্ট হতে হবে। আসুন এমন কিছু খাবারের কথা বলি যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই একটি ডায়েট প্ল্যান তৈরি করতে হবে, যা তাদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে। আপনি কখন কী খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন এবং আপনি যে খাবারটি খাচ্ছেন তা আপনার শরীরের পক্ষে ভাল কিনা সে বিষয়েও আপনার মনোযোগ দেওয়া উচিত। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যা তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং তাদের প্রতিদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
তবে খাবার এবং অনুশীলনের জন্য একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এমন শাকসবজি খাওয়া উচিত যাতে কোনও স্টার্চ থাকে না। যেমন: ব্রোকলি, পালং শাক, ইত্যাদি।
দানাদার খাবার এবং চিনি থেকে দূরে থাকুন। সাদা ময়দা, সাদা চাল, চিনি ইত্যাদি সবই উদাহরণ। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় যখন ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। সুতরাং আপনার এমন কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত যাতে কার্বোহাইড্রেট বেশি। আপনি এমন খাবারগুলো রাখতে পারেন যাতে সঠিক পরিমাণে প্রোটিন এবং চর্বিযুক্ত এবং ফাইবার কার্বোহাইড্রেট কার্বস বেশি থাকে। এই সব খাবার দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না।
ডায়াবেটিস কমানোর খাবার এর তালিকাঃ
- মটরশুঁটি
- তুলসী
- দুধ
- তিসি
- খেজুর
- বাদাম
- শস্য দানা
- লেবু
- সবুজ শাকসবজি
- টক দই
- ডিমের সাদা অংশ
- ওয়াইল্ড স্যামন
- সবুজ চা
- মাছ
ডায়াবেটিস কমানোর ঔষধ
এবার জানা যাক কিভাবে ঔষধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস কমানো যায় । নিছে এমন কিছু ভালো ঔষধ দেওয়া হলো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার রোগ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন । চলুন দেখে আসি একে একে ডায়াবেটিস কমানোর ঔষধ গুলো ।
মেটফরমিন
মেটফরমিন একটি ডায়াবেটিস ওষুধ যা শরীরের ইনসুলিনকে আরও ভালভাবে কাজ করতে সহায়তা করে এবং লিভারের তৈরি চিনির পরিমাণ হ্রাস করে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ভাল কাজ করে যারা কেবল খাবার এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তবে এটি টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহার করা যায় না। এটি অন্যান্য ডায়াবেটিস ওষুধের তুলনায় কম দামে কেনা যায়, কম রক্তে শর্করার (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) কারণ হয় না এবং এটি লোকেদের ওজন বাড়িয়ে তোলে না।
সালফনিলুরিয়া
টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সালফনিলুরিয়া নামক ওষুধ খান। এটি অগ্ন্যাশয়কে আরও ভালভাবে ইনসুলিন তৈরি ও ব্যবহার করতে সাহায্য করে এবং অগ্ন্যাশয়কে আরও ইনসুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে। সালফনিলুরিয়া দ্রুত কাজ করে যেটি দ্রুত রক্তে শর্করাকে কমাতে পারে, তবে এটি দিনে দুবার খেতে হবে। ধীর-কর্মক্ষম সালফনিলুরিয়া আরও ধীরে ধীরে কাজ করে কিন্তু শরীরে বেশিক্ষণ থাকে, তাই এগুলি সাধারণত দিনে একবার নেওয়া হয় যদি না আপনার উচ্চ মাত্রার প্রয়োজন হয়।
গ্লীবেনক্ল্যামাইড (গ্লাইবুরাইড)
গ্লীবেনক্ল্যামাইড (গ্লাইবুরাইড) হলো একটি ধীর-কর্মক্ষম সালফনিলুরিয়া যা ট্যাবলেট আকারে আসে 1 মিলিগ্রাম, 2 মিলিগ্রাম এবং 4 মিলিগ্রাম ডোজ সহ। প্রারম্ভিক ডোজ সাধারণত 1 মিলিগ্রাম এবং 2 মিলিগ্রামের মধ্যে হয়, সকালে খাবারের আগে একবার নেওয়া হয়। প্রয়োজনে, পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।
গ্লিমেপিরাইড
গ্লিমেপিরাইড হলো একটি ধীর-কর্মক্ষম সালফনিলুরিয়া যা ট্যাবলেট আকারে আসে 1.25 মিলিগ্রাম, 2.5 মিলিগ্রাম এবং 5 মিলিগ্রাম ডোজ সহ। প্রারম্ভিক ডোজ সাধারণত 1.25 মিলিগ্রাম এবং 5 মিলিগ্রামের মধ্যে হয়, সকালে খাবারের আগে একবার নেওয়া হয়। প্রয়োজনে, পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।
গ্লিপিজাইড
গ্লিপিজাইড হলো একটি ধীর-কর্মক্ষম সালফনিলুরিয়া যা ট্যাবলেট আকারে আসে 5 মিলিগ্রাম এবং 10 মিলিগ্রাম ডোজ সহ।
গ্লিক্লাজাইড এবং গ্লিক্লাজাইড এমএর
গ্লিপিজাইড যা ট্যাবলেট আকারে আসে 2 মিলিগ্রাম ডোজ সহ।
গ্লিক্লাজাইড এমআর
এটি একটি 30 মিলিগ্রাম বড়ির আকারে আসে এবং নিয়মিত গ্লিক্লাজাইডের চেয়ে আলাদাভাবে নেওয়া হয়। বেশিরভাগ সময়, একজন ব্যক্তি প্রতিদিন 30 মিলিগ্রাম গ্লিক্লাজাইড এমআর গ্রহণ করে শুরু করেন।