শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের স্ট্যাটাস নিয়ে যারা খুজা খুজি করতেছেন ফেইসবুকে শেয়ার কিংবা অন্যান্য সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট দেওয়ার জন্য তাদের জন্য নিয়ে এলাম আজকের এই নিওটেরিক আইটির পরিপুর্ন আর্টিকেল । ডিসেম্বর মাসে ১৯৭১ সালে বিজয়ের আগে পাকস্থানি বাহিনি বাংলাদেশের প্রধান মেধা শক্তি ধ্বংস করার জন্য হত্যা করতে থাকে , শিক্ষক , ডাক্তার , সাহিত্যিক , লেখক ও সাংবাদিকদের । অনেক বুদ্ধিজীবি তারা হত্য করে ফেলে । আজকের এই ১৪ ডিসেম্বর তাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের স্ট্যাটাস ও তাদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য যারা স্ট্যাটাস ও পোস্ট খুজতেছেন তারা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করলেই পেয়ে যাবেন সেরা কিছু স্ট্যাটাস , কবিতা ও রচনা অনুচ্ছেদ । বুদ্ধিজীবিদের সম্পর্কে এবং
শহীদ বুদ্ধিজীবী তালিকা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে একটা আর্টিকেল প্রকাশ করেছি ।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের স্ট্যাটাস
চলুন দেখে আসি কিছু
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের স্ট্যাটাস যা আপনারা কোন সমস্যা ছাড়া ইজিলি ফেইসবুক ও অন্যান্য সোশাল একাউন্টে শেয়ার করতে পারবেন ।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের স্ট্যাটাস , কবিতা, রচনা , অনুচ্ছেদ - buddhijibi dibosh status-
NeotericIT.com
হে মহান শহীদ বুদ্ধিজীবী ।
আমরা কোনদিন তোমাদের আত্মত্যাগ ভুলবো না।
তোমরা যুগান্তরে রয়ে যাবে সকলের হৃদয়ে ।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ।
এবং বুদ্ধিজীবীদের প্রেরণায় উজ্জীবিত হওয়ার শপথ করছি।
ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
তোমরা ছিলে তোমরা আছো থাকবে চিরকাল ,
তোমাদের আদর্শে উজ্জীবিত হোক প্রতিটি সকাল ।
ক্ষমতার পালা বদলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরিবর্তন হয়েছে ।
শহীদ বুদ্ধিজীবীরা থাকলে আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস পেতাম ।
দেশদ্রোহীরা কতটা ভয়ংকর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে সেটা আর স্পষ্ট হয়েছে ।
অতএব ওদের কোন ক্ষমা নেই ।
পাকিস্তানের প্রেতাত্মা রাজাকাররা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলেও
বাংলাদেশকে এগিয়ে যাওয়া থামাতে পারেনি।
জীবন দিয়ে হলেও শহীদ বুদ্ধিজীবীরা সফল ।
আজ এত বছর পরেও তাদের সবাই স্মরণ করছে কিন্তু রাজাকাররা ব্যর্থ ।
জীবিত ,মৃত সর্বাবস্থা তারা ঘৃণিত।
মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে বুদ্ধিজীবীদের কর্মকৌশল অনন্য ।
কারণ যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের ফর্মুলা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
দল-মত ,ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেরই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
এবং ভালবাসা জানানো উচিত ।
বুদ্ধিজীবীরা আজ হয়ে আছে অমর
পাকিস্তান ও রাজাকারের ভেঙ্গেছে কোমর ।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কবিতা
এই মহান দিনের কিছু কবিতা নিয়ে এলাম আপনাদের জন্য যা আপনি প্রকাশ করতে পারেন আপনার সোশাল একাউন্টের মাধ্যমে । শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছে নিওটেরিক আইটির এই ওয়েবসাইটে ।
বুদ্ধিজীবী দিবস
শরিফ আহমাদ
বুদ্ধিজীবী শহীদ দিবস
আবার এলো আজ
দেশজুড়ে হয় কত কিছু
বন্ধ যেন কাজ ।
ব্যানার ফেস্টুন শোভা বাড়ায়
পথের মোড়ে ওই
শোক পালনের দৃশ্য দারুন
নেই কোন হইচই ।
দোয়া মাহফিল আলোচনার
অনেক অনুষ্ঠান
ত্যাগ মহিমার গল্পকথায়
জেগে ওঠে প্রাণ ।
ঐ শহীদদের প্রতি রইলো
শ্রদ্ধা এবং শোক
সোনার বাংলা গড়তে সবাই
আজ সচেতন হোক।
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ
শরিফ আহমাদ
বীর বাঙ্গালি লড়াই করে
জীবন বাজি রেখে
দেশ বিরোধী চক্র অবাক
জয়ের দৃশ্য দেখে ।
ভাবনা ছাড়া এখন তারা
কিবা করতে পারে
বাঙালিদের বিজয় হলে
আসবে বিপদ ঘাড়ে ।
বিকল্প পথ হাতে নিয়ে
মাঠে নামে তারা
কৌশলে খুন করে বেড়ায়
উজাড় করে পাড়া ।
বুদ্ধিজীবী খতম করার
চেষ্টা চালায় ভীষণ
অসংখ্য প্রাণ ঝরে গেলেও
ব্যর্থ ওদের মিশন ।
বিজয় আসে
শরিফ আহমাদ
একাত্তরে লড়াই যখন শুরু–
বীর বাঙ্গালি জাগে
ছোটে সবার আগে
জালিমের বুক কাঁপে দুরুদুরু ।
তুমুল লড়াই চলে দিনে রাতে–
পোড়ে কত বাড়ি
কাঁদে শিশু নারী
মুক্তিযোদ্ধা থাকে সবার সাথে ।
পাকহানাদার হটতে থাকে পিছু–
বিভিন্ন কৌশলে
আটকে ইঁদুর কলে
রাজাকার ও সঙ্গে ছিলো কিছু ।
লাখ শহীদের রক্ত নদী ঝরে–
নয়টি মাসের শেষে
সূর্য ওঠে হেসে
বিজয় আসে শহর গ্রামের ঘরে ।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের রচনা - শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস রচনা pdf
আপনারা যারা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের রচনা শিখতে চান তারা চাইলে এই রচনা গুলো দেখতে পারেন । আপনি যদি পরিক্ষার জন্য কিংবা কোথাও অনুষ্টান কর্মসূচিতে রচনা করার জন্য শিখতে চান তাহলে নিছের রচনাটা শিখে নিতে পারেন । কিংবা কপি করে আপনার মোবাইলে রেখে দিতে পারেন ।
সূচনা :
শিক্ষাকে যদি জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়, তবে বুদ্ধিজীবীরা জাতির মস্তিষ্ক। তাঁদের মেধা, শ্রম ও দেশপ্রেম জাতিকে আলোর পথ দেখায়, জাতি গঠনে সহায়তা করে। আমাদের জাতিসত্তার বিকাশ ও স্বাধীনতাপ্রাপ্তির মূলে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের বিশেষ অবদান রয়েছে। বুদ্ধিজীবীদের নানা পরামর্শ, তত্ত, উপাত্ত, লেখনী মুক্তিযুদ্ধে সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রেখেছে।
পাকিস্তানি হানাদারদের তাণ্ডব :
স্বাধীনতাযুদ্ধে আমরা যেমন হারিয়েছি অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাকে, তেমনি হারিয়েছি শত শত দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবীকে। দেশদ্রোহী রাজাকার, আল বদর ও আলশামসদের সহায়তায় পাক-হানাদার বাহিনী অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবেআমাদের বরেণ্য মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ১৯৭১-এর ২৫শে মার্চের কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের একেবারে অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত তারা এই হত্যাকাণ্ড চালায়।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের পটভূমি :
পাকিস্তানি বাহিনী যখন বুঝতে পারে তাদের পরাজয় সুনিশ্চিত তখন তারা বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার এক ঘৃণ্য নীলনকশা প্রণয়ন করে। নীলনকশা অনুযায়ী ৭ থেকে ১৪ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত হত্যাযজ্ঞ চালায় তারা। বেছে বেছে শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীদের হত্যা করে। এ ঘটনার স্মরণে প্রতিবছরই ১৪ই ডিসেম্বর আমরা ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছি।
বুদ্ধিজীবী হত্যার পর্যায় :
১৯৭১-এর বুদ্ধিজীবী হত্যাকে দুটি পর্বে ভাগ করা যায়। প্রথম পর্ব ১৯৭১-এর ২৫শে মার্চ থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ১লা ডিসেম্বর থেকে ১৬ই ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত। প্রথম পর্বে যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্বী শিক্ষক এম মুনিরুজ্জামান, ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দার, সুরসাধক আলতাফ মাহমুদ, ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা, সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডা. যোগেশচন্দ্র ঘোষ, কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নতুনচন্দ্র সিংহ প্রমুখ। সাংবাদিক মেহেরুন্নেসা, সেলিনা পারভিন, শহীদ সাবের প্রমুখরাও এই রাতে শহিদ হন।
দ্বিতীয় পর্বের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে আলবদর বাহিনী। এ পর্বে যাঁদের হত্যা করা হয় তাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ও বিশিষ্ট নাট্যকার অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রাশীদুল হাসান, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহম্মদ প্রমুখ। তাঁরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সাংবাদিকদের মধ্যে শহীদুল্লা কায়সার, সিরাজুদ্দীন হোসেন, নিজামউদ্দীন আহমদ, আ ন ম গোলাম মোস্তফা প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনদের। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেক বুদ্ধিজীবীর লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে।
উপসংহার :
বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁরা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে তাঁরা নিজেদের অবস্থানে ছিলেন অটল। দেশের জন্য ত্যাগের মহা আদর্শ স্থাপন করে গেছেন তাঁরা। সেই আদর্শ অনুসারে আমরা নিজেদের যোগ্য মানুষরূপে গড়ে তুলব। তবেই আমাদের পক্ষে তাঁদের ঋণ শোধ করা সম্ভব হবে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস রচনা pdf
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুচ্ছেদ - শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে অনুচ্ছেদ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে অনুচ্ছেদ খুজতেছেন আপনি ? তাহলে দেরি কেন আমাদের এই ওয়েবসাইটের বাকি আংশ পড়লেই জেনে যাবেন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে অনুচ্ছেদ । আপনি খুব সহজেই কপি করে নিতে পারবেন অথবা স্কিন সট নিয়ে রাখতে পারবেন । চলুন দকেহে আসি তাহলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে অনুচ্ছেদ । অনুচ্ছেদ রচনা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস দেখুন ।
ভূমিকাঃ
১৪ ই ডিসেম্বর রাতে পাকিস্থানী বাহীনী তাদের দেশি ও দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস্ বাহীনীর সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিজ নিজ গৃহ হতে তুলে এনে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। এই পরিকল্পিত গণহত্যাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে গণহত্যা নামে পরিচিত। বন্দি অবস্থায় বুদ্ধিজীবীদের বিভিন্ন বদ্ধভূমিতে হত্যা করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদের ক্ষতবিক্ষত ও বিকৃত লাশ রায়ের বাজার ও মিরপুর বদ্ধভূমিতে পাওয়া যায়। অনেকের লাশ শনাক্তও করা যায় নি। পাওয়াও যায় নি বহু লাশ। ১৯৭১ এর ১৪ই ডিসেম্বরে নির্মম হত্যাকান্ডের কথা স্বরণ করে প্রতি বছর ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশে পালিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বুদ্ধিজীবী হত্যার স্বরণে বাংলাদেশে ঢাকায় বুদ্ধিজীবী সৃতিসৌধ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ডাক বিভাগ বুদ্ধিজীবীদের স্বরণে একটি স্বারক ডাকটিকিটের সিরিজ বের করেছে।
বুদ্ধিজীবীদের সংজ্ঞ্যা:
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী যারা দৈহিক শ্রমের বদলে মানসিক শ্রম বা বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রম দেন তারাই বুদ্ধিজীবী। বাংলা একাডেমী প্রকাশিত শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থে বুদ্ধিজীবীদের যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা হলাে: বুদ্ধিজীবী অর্থ লেখক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, সকল পর্যায়ের শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, চলচ্চিত্র ও নাটকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সমাজসেবী ও সংস্কৃতিসেবী।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড কারণঃ
পাকিস্তান নামক অগণতান্ত্রিক এবং অবৈজ্ঞানিক রাষ্ট্র গঠনের পর থেকেই বাঙালিদের বা পূর্ব-পাকিস্তানীদের সাথে পশ্চিম-পাকিস্তানের রাষ্ট্রযন্ত্র বৈষম্যমূলক আচরণ করতে থাকে। তারা বাঙালিদের ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আঘাত হানে। এরই ফলশ্রুতিতে বাঙালির মনে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হতে থাকে এবং বাঙালিরা এই অবিচারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন শুরু করে। এ সকল আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকতেন সমাজের সর্বস্তরের বুদ্ধিজীবীরা। তারা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক-ভাবে বাঙালিদের বাঙালি জাতীয়তাবােধে উদ্বুদ্ধ করতেন।
তাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ফলেই জনগণ ধীরে ধীরে নিজেদের দাবি ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠতে থাকে যা পরবর্তীতে তাদের রাজনৈতিক আন্দোলনের দিকে ধাবিত করে। এজন্য শুরু থেকেই বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন। তাই যুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানী বাহিনী বাছাই করে করে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে থাকে। এছাড়া যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে যখন পাকিস্তানের পরাজয় যখন শুধু সময়ের ব্যাপার তখন বাঙালি জাতি যেন শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও সামাজিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে তাই তারা বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করে দেবার লক্ষ্যে তালিকা তৈরি করে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এ প্রসঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থে যে যুক্তিটি দেয়া হয়েছে তা প্রাসঙ্গিক ও
যুক্তিযুক্ত:-
এটা অবধারিত হয়, বুদ্ধিজীবীরাই জাগিয়ে রাখেন জাতির বিবেক, জাগিয়ে রাখেন তাদের রচনাবলীর মাধ্যমে, সাংবাদিকদের কলমের মাধ্যমে, গানের সুরে, শিক্ষালয়ে পাঠদানে, চিকিৎসা, প্রকৌশল, রাজনীতি ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণের সান্নিধ্যে এসে। একটি জাতিকে নির্বীজ করে দেবার প্রথম উপায় বুদ্ধিজীবী শূন্য করে দেয়া। ২৫ মার্চ রাতে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল অতর্কিতে, তারপর ধীরে ধীরে, শেষে পরাজয় অনিবার্য জেনে ডিসেম্বর ১০ তারিখ হতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দ্রুতগতিতে।
হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাঃ
মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি, পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ।২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনার সাথে একসাথেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পাকিস্তানী সেনারা অপারেশন চলাকালীন সময়ে খুঁজে খুঁজে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষককে ২৫শে মার্চের রাতেই হত্যা করা হয়। তবে, পরিকল্পিত হত্যার ব্যাপক অংশটি ঘটে যুদ্ধ শেষ হবার মাত্র কয়েকদিন আগে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং তাদের প্রশিক্ষিত আধা-সামরিক বাহিনী আল-বদর এবং আল- শামস বাহিনী একটি তালিকা তৈরি করে, যেখানে এই সব স্বাধীনতাকামী বুদ্ধিজীবীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ধারণা করা হয় পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে এ কাজের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি। কারণ স্বাধীনতার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত বঙ্গভবন থেকে তার স্বহস্তে লিখিত ডায়েরী পাওয়া যায় যাতে অনেক নিহত ও জীবিত বুদ্ধিজীবীর নাম পাওয়া যায়। এছাড়া আইয়ুব শাসন আমলের তথ্য সচিব আলতাফ গওহরের এক সাক্ষাৎকার হতে জানা যায় যে, ফরমান আলীর তালিকায় তার বন্ধু কবি সানাউল হকের নাম ছিল। আলতাফ গওহরের অনুরােধক্রমে রাও ফরমান আলি তার ডায়েরীর লিস্ট থেকে সানাউল হকের নাম কেটে দেন। এছাড়া আলবদরদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা তিনিই করেছিলেন বলে তার ডায়েরীতে একটি নােট পাওয়া যায়।
এছাড়া তার ডায়েরীতে হেইটও ডুসপিকনামে দুজন মার্কিন নাগরিকের কথা পাওয়া যায়। এদের নামের পাশে ইউএসএ এবং ডিজিআইএস লেখা ছিল। এর মধ্যে হেইট ১৯৫৩ সাল থেকে সামরিক গােয়েন্দা-বাহিনীতে যুক্ত ছিল এবং ডুসপিক ছিল সিআইএ এজেন্ট।এ কারণে সন্দেহ করা হয়ে থাকে, পুরাে ঘটনার পরিকল্পনায় সিআইএ’র ভূমিকা ছিল।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুচ্ছেদ PDF ডাউনলোড
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুচ্ছেদ PDF ডাউনলোড করে নিতে পারবেন রচনার PDF এর মতো । নিছের লিঙ্ক এ ক্লিক করেই ডাউনলোড করে নিন আপনার প্রয়োজনী শহীদ
বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুচ্ছেদ PDF ফাইল ।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুচ্ছেদ ছবি
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুচ্ছেদ ছবি ও ডাউনলোড করে রাখুন ।
|
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুচ্ছেদ - স্ট্যাটাস , কবিতা, রচনা - buddhijibi dibosh status- NeotericIT.com |
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না ।
comment url