অনাকাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা - ভালোবাসার গল্প - unrequited love

 অনাকাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা  - ভালোবাসার গল্প  - unrequited love, আপনারা যারা ভালোবাসার গল্প পড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য আজকের এই গল্পের আয়োজন । আপনারা অনেকে ভালোবাসার গল্প,ফুল পরী ও শয়তানের ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,ভালবাসার গল্প,খুনসুটির ভালোবাসার গল্প,বিয়ের রাতের গল্প,দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার গল্প,বাংলা মুভির গল্প,সুখের নেশায়।বাংলা ভালোবাসার গল্প,পিচ্চি বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,স্বামী স্ত্রী রোমান্টিক ভালোবাসা গল্প,প্রেমের গল্প,ভালোবাসার প্রতিশোধ,না বলা ভালোবাসা,কাছে আসার গল্প,টিপটাপ ভালোবাসা,বাসর রাতের গল্প,খুনসুটি ভালোবাসা,অভিমানী ভালোবাসা,ভালোবাসা পূর্ণতা পেলো,পিচ্চি মেয়ের ভালোবাসা ইত্যাদি লিখে গুগলে সার্চ করেন । 

.

অনাকাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা  - ভালোবাসার গল্প  - unrequited love

অনাকাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা  - ভালোবাসার গল্প  - unrequited love

অনাকাঙ্ক্ষিত ভালোবাসার গল্প 

#গল্পঃঅনাকাঙ্ক্ষিত_ভালোবাসা 

#পর্বঃ৯

#লেখকঃFahmida_Khatun 

নিশা নাস্তা খেয়ে চলে আসলো তার রুমে আর ভাবছে রাকিবের কথা কি করবে তাকে কি আরেকবার সুযোগ দিবে কিন্তু ওর বিবেক বলছে না দেয়াই উচিত।আর এমনিতেও রাকিব কয়দিন ফোন দেয় নাই। কথা বন্ধ আজ ৮ দিন হলো আর কল দিলো তাও মাত্র  পাঁচ বার তাও দুই দিনে,আর বাকি দিন কোনো কলই আসলো না।এখন কেনো জানি কথা বলতেই ইচ্ছে করে না।আবার ভাবে কল দিয়েই দেখা যাক পরে আবার ভাবে নাহ কল দিবে না,ফেসবুকে চেক করবে।নিশা ফেসবুকে ঢুকলো দেখলো রাকিবের কোনো মেসেজ নাই সে অবাক হলো,পরে সে রাকিবের আইডিতে ঢুকে সেইরকম কিছু ছিল না,ভাবছে কি করবে কল দিয়েই দেখি।সে রাকিবের নাম্বারে কল দেয় অনেকক্ষণ পর কল ধরে একজন মেয়ে। নিশা বলল," আসসালামু আলাইকুম হ্যালো রাকিব আছে??"।

মেয়েটি,"ওয়ালাইকুম আসসালাম,জি না রাকিব ভাই তো নাই সে বাইরে গিয়েছে, আপনি কে??"

নিশা,"আমি...আমি রাকিবের ফ্রেন্ড,ওকে আসলে বলবেন কল দিতে আমায় "।

মেয়েটি," নাম তো বলো আর হ্যা তুমি তো ওর ফ্রেন্ড ও মনে হয় বলসে তোমাকে ওর বিয়ের কথা,তুমিও এসো কিন্তু বিয়েতে দাওয়াত রইলো "।

নিশা শুনে অবাক হয়ে গেল আর বলল," বিয়ে মানে কি কবে বিয়ে কিভাবে কি হলো "।

মেয়েটি," কি বলো তুমি জানো না??এই মাসেই ২০ তারিখে বিয়ে, আচ্ছা আমি রাকিব ভাই আসলে জানাবো"।

কল কেটে নিশা ভাবলো বাহ ও এখানে চিন্তা করছিলো কল দেয় না কেন আর ওনি বিয়ে নিয়ে ব্যাস্ত।নিশা অপেক্ষা করতে লাগলো কখন কল দিবে রাকিব দুপুর ১২টার সময় রাকিব কল দেয় নিশাকে,নিশা কল ধরে বলে, "কি খবর ভালোই তো আছো দেখছি"।

রাকিব," কে নিশা? "

নিশা,"ওও এত তাড়াতাড়ি ভুলেও গেসেন আমাকে"।

রাকিব,"নিশা তুমি কোথায় ছিলা বলো এত কল দিসি একবারও ধরো নাই,বাবা মা আমাকে জোর করে বিয়ে দিতাসে,আমি এই বিয়ে করতে চাই না,আমি তোমাকে চাই শুধু এত দিনে মনে পড়লো আমার কথা"।

নিশা,"তাই এই ৮দিনে কয়বার কল দিসেন আপনি???যাইহোক আমার কিছু বলার নাই একের পর এক আঘাত দিয়ে যাচ্ছেন দেখছি ওকে যান বিয়ে করেন সংসার করেন,সুখী হন দোআ করবো,আর কি বললেন আপনার বাবা মা জোর করে বিয়ে দিচ্ছে তাই না, আপনি তো বলসিলেন আমার কথা আপনার পরিবারের সবাই জানে বাবা মা ছাড়া,তো বাকিরা কেনো আটকালো না আচ্ছা বাদ দিলাম আপনি কেন বলেন নাই???"

রাকিব,"ইয়ে... মানে... আমি বলসিলাম তো কিন্তু তারা না করে দিসে "।

নিশা," ওও তাই আপনি না তাদের প্রিয় ছেলে আপনার পছন্দই তাদের পছন্দ বড় বড় কথা তো বলসিলেন.. নাকি আপনার হবু বউ খুব সুন্দরী তাই রাজি হয়ে গেসেন বিয়েতে না করতে পারলেন না তাই তো ? "

রাকিব," না না এসব কি বলছো ? আমি..."

নিশা, "বাদ দেন ভালো লাগে না আর মিথ্যা শুনতে আর কখনও কল দিবো না আর না আপনি দিবেন আমাকে,

সবদিক থেকে ব্লক আপনি বাই ভালো থাকেন"।

বলেই কেটে দিলো নিশা। একদমই ভালো লাগছে না ওর মানুষটাকে কি ভাবসে আর বের হলো কি,

না পেরে ওয়াসরুমে  চলে গেলো,ঝর্ণার পানি ছেড়ে সে বসে পড়লো  ফ্লোরে আর কাঁদতে লাগলো নিশা।কেনো ওর সাথে এমন হলো প্রথম আর দ্বিতীয় মানুষ দুজনই খারাপ হলো,ও কি দেখতে এত খারাপ যে ওকে পছন্দ করে না,ভালোবাসে না শুধু ধোঁকা দেয় ওকে । খুব কান্না করতে লাগলো নিশা।অনেকক্ষণ পর উঠে দাড়ালো চোখ মুছে গোসল করে  কাপড় বদলিয়ে রুমে এসে ভাবলো আর না  যা হওয়ার হইসে, নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করবে ভেঙ্গে পড়ে লাভ নাই কোনো নিজেরই ক্ষতি উল্টো। এরপর নিশা চুল মুছে দুপুরের খাবার না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লো কিন্তু ঘুম তার আসে না উল্টো চোখ দিয়ে পানি পড়ে বালিশ ভিজতে লাগলো ও যতবারই চোখ মুছে তাও চোখে অশ্রু দিয়ে ভরে যায়। কাঁদতে কাঁদতে চোখ ক্লান্ত তার কখন ঘুমিয়ে পড়লো টের পেলো না। দুপুরে খাওয়ার সময়ে নিশার মা ডাকতে আসলো, এসে দেখে ঘুমিয়ে আছে এটা দেখেই ক্ষেপে গেল আর বলল," রাতে কি ঘুমাস নাই ওই উঠ ভাত খাবি না??এখন কি ঘুমানোর সময়"।

নিশার ঘুম ভেঙ্গে যায় বলে,"আমি খাবো না খিদে নাই তোমরা খাও"।

সায়েরা বেগম, "কেনো? খাবি না কেন??এমনি তো শুকনী না খেয়ে তো আর শুকানোর ইচ্ছে আছে নাকি?? ঘর থেকে বের করে দিবো তাহলে, এমন শুকনা-চিমুলি রাখতে পারবো না, মানুষ তোরে দেখলেই কেমন করে তাকায় থাকে আর  বলে আমি নাকি খাওয়াই না"।( নিশা চিকন খুব তাই ওর মা শুকনী,চিমুলি বলে ) 

নিশা," আমি খাবো না ভূমি আসতাসে আমার"।

সায়েরা বেগম, "মর তাহলে না খেয়ে " বলে রাগ দেখিয়ে চলে গেলো।

নিশা চুপ করে শুয়ে থাকলো কিছু বলার নাই  সে উঠে দেখল ঘড়িতে এখন ২টা বাজে।কিছুক্ষণ পর কোচিং যেতে ইচ্ছে করছে না কিন্তু তাও উঠলো আয়নার সামনে দাড়ালো দেখে ওর চোখ অনেক ফোলে আছে বুঝলো কান্নার কারণে এমন হলো কিন্তু ওর মা দেখেও কিছু জিজ্ঞেস করলো না জিনিসটা খারাপ লাগলো।নিশা ফ্রেশ হয়ে এসে বোরকা,হিজাব পড়ে রেডি হয়ে নিলো সময় দেখলো ২.৩০, এমনিতে তো...

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url