রোমান্টিক প্রেমের চিঠি - Romantic love letter
রোমান্টিক প্রেমের চিঠি দেখবো এই পেইজে । আপনি যদি আপনার প্রিয় মানুষের কাছে সুন্দর রকটা রোমান্টিক প্রেমের চিঠি পাঠাতে চান তাহলে এই আর্টিকেল শুধু আপনারি জন্য ।
আমি প্রায় বেশ কয়েকটি চিঠি নিয়ে এসেছি এই পেইজে । আপনি দেখে নিন । তার আগে আমাদের জেনে নিতে হবে -
রোমান্টিক প্রেমের চিঠি লিখার নিয়ম
শুরুতেই তোমাকে জানাই ভালোবাসার প্রতিক লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। তোমার সাথে আমার পরিচয়টা অনেক বছরের। সেই প্রথম থেকেই তোমাকে আমার প্রচন্ড ভালো লাগতো। সেই ভালো লাগা কখন যে ভালোবাসায় রুপ নিয়েছে তা এখনো আমার অজানা। তবে এতোটুকু আমি ভালো ভাবেই জানি তুমি আমার প্রথম ভালোবাসা। আমি শুনেছি প্রথম ভালোবাসা কেউ নাকি ভুলতে পারেনা। হয়তো আমিও তোমাকে কোনদিন ভুলতে পারবোনা। রোমান্টিক প্রেমের চিঠি,প্রেমের চিঠি,চিঠি লেখার নিয়ম,প্রথম প্রেমের চিঠি,প্রেমের চিঠি কিভাবে লিখতে হয়,প্রেমের চিঠি লেখা,লাভ লেটার লেখার নিয়ম,ভালোবাসার চিঠি,চিঠি লিখার নিওম,ভালোবাসার প্রথম চিঠি,প্রপোজ করার চিঠি,চিঠি,প্রেমের চিঠি কিভাবে লিখতে হয়,লেখার নিয়ম,লাভ লেটার লেখার নিয়ম,প্রিয় মানুষের জন্য চিঠি,ভালবাসার চিঠি লিখার নিওম,রোমান্টিক লাভ লেটার,চিঠি লেখার নিয়ম,চিঠি লেখার নিয়ম বাংলা,ভালোবাসার আবেগি চিঠি,জেনে নিন প্রেমের চিঠি লেখার নিয়ম
রোমান্টিক প্রেমের চিঠি ১
প্রিয়তম জয়,
ওগো আমার প্রাণের প্রিয়তমা ।শুরুতে তোমাকে জানাই বকুল ফুলের শূভেচ্ছা ।আশা করি তা গ্রহন করবে ।আমি প্রথম দেখাতেই তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি ।সত্যিই তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি আর ভালবেসে যাব জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত ।একথা তুমি বিশ্বাস কর বা আর না কর ।এতে আমার কোন যায় আসে না ।আমি জানি জোর করে ভালবাসা হয় না, ভালবাসা শুধু মন দিয়ে অনুভব করতে হয় ।সে ক্ষেত্রে ভাষার কোন প্রয়োজন হয় না ।তার পরেও লিখে প্রকাশ করছি তোমার কাছে আমার ভালবাসাকে ।আর প্রেমের ক্ষেত্রে আমি সমান অধিকারে বিশ্বাসি ।তুমি আমার প্রথম, আর তোমাকেই শেষ বলে এ হৃদয়ে স্থান দিয়েছি, জানিনা পত্র কিভাবে লিখতে হয় অশান্ত পৃথিবীর বুকে আমার এমন মানুষের অভাব হয়নি ।যা তোমাকে প্রথম দৃষ্টিতেই হৃদয়ে আপন করে নিয়েছি । কিছুদিনে পরিচয় মাএ তোমার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে গভীর ভাবে ভালবেসে ফেলেছি তোমাকে, তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিওনা , তুমি আমার প্রেম ভালবাসাকে ব্যার্থ হতে দিওনা ।আর তুমি যদি আমার ভালবাসাকে প্রত্যাখান কর তাহলে এই ব্যার্থ জীবনের জন্য একমাএ দায়ী তুমি ।প্রেমে করেছে রাজা ভিখারী, ওরা প্রেমের কারনে হয়েছে বৈরাগী । প্রেম ধর্ম বা জাতকে বিচার করে হয়না । তাই আমি চাই আমার প্রতি তোমার সেচ্ছায় প্রেমের সম্বধনা । তোমার আচার ব্যবহার আমাকে মহনীয় করে তুলেছে ।তাই তোমাকে ভালবাসি ।তুমি না চাইলে আমি তোমাকে অভিসাপ দেবনা ।শুধু আমার হৃদয়ের দরজা খুলে রেখেছি একান্ত ভাবে পাওয়ার আশায় সর্বক্ষণ যেন তোমাকেই নিয়ে ভাবতেই ভাল লাগে ।যখন ভাবি তখন আমার শরীলের সমস্ত শিরা উপশিরা বাজতে থাকে হয়তো তোমার প্রতি আমার ভালবাসার কোন খাদ নেই ।তাই তোমাকে ভেবে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছিন ।ভবিষ্যতে ও কি হবে জানিনা, তোমাকে নিয়ে যখন ভাবি তখন মনে হয় তুমি আমার পাশেই আছ ।তোমার সেই অপলক চাহনী ,মুখ ভরা মিষ্টি হাসি ,আর তোমার চঞ্চলতা বার বার আমার হৃদয়ে স্পষ্ট ভেসে ওঠে ।তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারিনা,আমার চিন্তা চেতনা সে তোমাকে ঘিরে ।আমার জীবন যাত্রার একমাত্র সাথী তুমি ।আরো কত কিছু বলতে চাই এ হৃদয় মুখের ভাষা হৃদয়ের কাঁন্না শুধু তোমার জন্যে । ভাল থেকো সুখে থেকো ,বিদায় নিবার আগে তোমার সুখি জীবন কামনা করে, আজকের মত এখানেই রাখলাম।
তোমার উওরের আশাই রইলাম।
রোমান্টিক প্রেমের চিঠি ২
প্রিয়
প্রেমিকা/প্রেমিক,
কেনো জানি খুব কান্না পাচ্ছে! শূন্যতা, পূর্ণতা, নির্ভরতা নাকি নিঃসঙ্গতার জন্য,
জানি না। শুধু বুঝতে পারছি বুকের ভিতরে কোথায় জেনো লুকানো জায়গা
থেকে একদল অভিমান প্রচণ্ড কান্না হয়ে দু’চোখ ফেটে বেরুতে চাইছে।
তুমি কাছে নেই বলে শূন্যতা তার ইচ্ছে মত দেখাচ্ছে তার নিষ্ঠুর
খেলা। আমিতো তোমার বুকে মুখ লুকালেই বাঁচি এখন! কিন্তু.
তুমি যে কত দূরে! বলতো!আজ শেষ বিকেলের পাহাড় ছুঁয়ে
ছুটে আসা দমকা হাওয়ার জড়িয়ে দেয়া মেঘের মতো ছোট্ট একটি ঘটনা
আমার সব দ্বিধাকে উড়িয়ে নিয়ে গেলো! বুঝলাম, মহাকাল যে
হাস্যকর ক্ষুদ্র সময়কে “জীবন” বলে আমাকে দান করেছে। সেই জীবনে তুমি-
ই আমার এক মাত্র মানুষটি, যার পাঁচটি আঙ্গুলের শরণার্থী আমার
পাঁচটি আঙ্গুল, যার বুকের পাঁজরে লেগে থাকা ঘামের গন্ধ
আমার ঘ্রাণশক্তির একমাত্র গন্তব্য। যার এলোমেলো চুলে
আমি-ই হারিয়ে যাবো। আর আমি হারিয়ে যাবো ভালবাসতে বাসতে!
যার দুটো অদ্ভুত সুন্দর মধুভরা ঠোঁটের উষ্ণতায় আর তাই জীবনটা
আজ ঠিক সেই অদ্ভুত ফুলগুলোর মতই মতই সুন্দর, যা
দেখে আমি চমকে উঠেছিলাম। আর তুমি আমায় পরম
মততায় আলতো জড়িয়ে ধরে তোমার ঠোঁটের সেই খুব মিষ্টি
ছোঁয়ায় ভরে দিয়েছিলে সেই পুরোটা পাহাড়ি বিকেল।
আর তখন সেই দূর পাহাড়ের দুষ্ট বাতাস এসে আমাকে চুপি চুপি কানে কানে
বলে দিলো, “তোমার পাঁজরের হারেই আমার এই দেহটি তৈরি, যাকে স্বামী
বলে! আজ প্রতিটি ক্ষণ হৃদয়ে যে পরম সত্য অনুভব করলাম- আমি
শুধুই তোমার। সে শেষ ঠিকানা আমি পেলাম। কখনই তা মিথ্যা হতে
দিওনা, কখনই ছেড়না আর। আজ আমার ভীষণ সুখী হাত দু’টো,
আর দৃষ্টি ঘুরিও না ঐ অদ্ভুত সুন্দর চোখজোড়ার, সেখানে অপলক
তাকিয়ে বৃষ্টির সাথে আমিও আনন্দ হয়ে ঝরেছিলাম!
তোমাকে ভালবাসি প্রচণ্ড- এরচেয়ে কোনও সত্য আপাতত আর জানিনা!
ভালবাসি তোমায়!
রোমান্টিক প্রেমের চিঠি ৩
প্রিয়,
রাত দুটো চোখে ঘুম নেই। কিছুই ভালো লাগছে না। বারবার শুধু তোমার কথা মনে পড়ছে। তবোও তোমায় নিয়ে লিখতে বসলাল আমার ভালোবাসার শেষ চিঠি।
আমি জানিনা, কিভাবে ভালোবাসতে হয় আর কিভাবে ভালোবাসলে ছেড়ে যায় না। তবে তোমাকে অনেক ভালোবাসি সেটা বুঝতে পারি। আর সেটা ভালোভাবেই জানি। তুমি হয়তো জানো না, এখনো তোমাকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছো করে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তোমার প্রকাশ ভঙ্গি অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। তোমাকে হয়তো কখনও বোঝাতে পারবো না আর বোঝাতেও পারিনি “কতোটা ভালোবাসি তোমাকে”। কিন্তু প্রমিস করছি, তোমার জায়গাটা অন্য কাউকে দিবো না। তোমার জায়গা তোমারি থাকবো!! যদি কখনও আমার কথা একটি বার মনে পড়ে তাহলে ফিরে আসো। আজও আমি তোমার অপেক্ষায় আছি।
ইতি
রোমান্টিক প্রেমের চিঠি ৪
প্রিয় তানিয়া,
শুরুতেই জানাই গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা। ভালোবাসা কাকে বলে হয়ত আমি বুঝি না। তবুও তোমায় আমি ভালোবেসে ফেলেছি। কেন তোমাকে এত ভালোবাসি সেটা বুঝতে পারি না। হয়তো কষ্টের ঝর্ণাটাকে পুর্ণ করতে তোমাকে আমি ভালোবেসেছি ।
তোমাকে প্রথম দেখাতেই আমার অনেক ভালো লাগে। হয়তো তখনিই তোমার প্রেমে পড়ে গেছিলাম। এখন তোমার কথা না ভেবে থাকতে পারি না। এই চোখে সাগর দেখেছি নীল রাঙা ঢেউ , জানি শুধু জানবে না কেউ । তোমার মিষ্টি হাসি আমার অনেক ভাল লাগে। তোমার জানালার পাশে লুকোচুরি আমার অনেক ভাল লাগে ।
আমি ভুলে যাই নিজেকে তবুও ভুলতে পারি না তোমাকে । আমার অস্তিত্বে কেন যে মিশে গেছ তুমি। প্রশ্ন করে ও পাই না কোন উত্তর আমার অন্তর আ্ত্তার কাছে। ঠিক যেমনটা তুমিও কখনো জানতে পারবে তোমার অন্তর আত্তার কাছে এর উত্তর ।
তবুও ক্ষমা করে দিও এই অদৃশ্যকে যদি কোন অপরাধ করে থাকি । আর পারবো না কোনদিন তোমাকে ভুলতে ‘তোমাকে ভালবাসি ’ এই কথাটি বলতে তোমাকে ।
ইতি,
তোমার পাগল।
রোমান্টিক প্রেমের চিঠি ৫
প্রিয়া..
তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে দেখতে স্বপ্নটাকেই
আমি যেন কবে স্বপ্ন করে ফেললাম।
এ স্বপ্ন তাই আর বাস্তবে পাবার ইচ্ছে হয়না।কিছু কিছু
জিনিস হয়তো স্বপ্নেই সুন্দর বলে
ভালো থাকবে হয়তোবা তবে আছো কিনা নিশ্চিতভাবে জানি না।
আমি ভালো আছি জেনে নাও।
জানালার ঠিক পাশেই সদ্য আমগাছে মুকুল
দেয়া দৃশ্যটায় চোখ পড়লেই দেখি হালকা সবুজাভাব
মুকুলগুলো খুব দ্রুতই সোনালী হয়ে গেছে।সময়টা একটু
তাড়াতাড়ি ই চলে যাচ্ছে মনে হয়।
শীতকাল টা ও শেষ হয়ে বসন্ত এসে গেছে কয়েকটা দিন
হলো।। তবুও শেষরাতে কম্বলটা গায়ে দিতেই হয়।
হালকা বৃষ্টিতে শীতশীত করলে গোসল
করবো নাকি করবো না ভাবতে ভাবতেই বিকেল
গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। গোসল আর করা হয়না।
দ্রুততার সময়….
দ্রুততার সময়….এবং
ব্যাস্ততার সময়
প্রায় ভাবি হুট করে তোমার প্রেমে পড়ার সময়টা ও খুব
দ্রুত ছিল। অথছ ব্যাস্ততার দোহাই দিয়ে ভুলতে চাইবার
সময়টা কেন জানি বের করতেই পারছিনা।
মাঝেমাঝে আনমনেই কল্পনায় তাই তোমাকে প্রশ্ন করি
“আচ্ছা তুমি কি জানো তুমি এ ছেলেটার চোখের প্রথম
ও শেষ অভিমানী?? “”
যদি জানো তবে খোলা চোখে কখনো আকাশ রেখ
আমার চোখে। দেখবে একটুকরো মেঘ সবসময় তোমার জন্য
তোলা আছে তোমাকে পাবার
সুখে কিংবা না পাবার অসুখে
ইতি…
আমি
প্রেমিকার কাছে রোমান্টিক চিঠি
প্রিয়
প্রথমে আমার সালাম নাও। আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছো। শুরুতেই আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে জানাই শুভেচ্ছা। জানিনা কিভাবে চিঠি লিখতে হয়। তবুও আজকে কিছু মনের কথা হৃদয়ের জমে থাকা ব্যথা প্রকাশ করব। প্রথম যেদিন তোমাকে দেখেছিলাম। সেদিন প্রথম দেখাতেই তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। সত্যিই তোমাকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি আর এই ভালোবাসা নিয়ে জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত বাঁচতে চাই। জানি তুমি আমার কথাগুলো বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আমি বলবো দিনের সূর্য যেমন সত্যি রাতের তারা যেমন সত্যি আমার কথাগুলো সেরকম সত্যি। তুমি বিশ্বাস করো আর নাই করো। আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো না। যদি এতোটুকু ভালবাসতে তাহলে আজ আমাকে ছেড়ে তুমি অন্যের ঘরে যেতে পারতে না। তারপরও লিখে প্রকাশ করছি আমার মনের সকল আবেগ এবং ভালোবাসার অশ্রু। মনে পরে কি, যেদিন তুমি আমাকে প্রথম বলেছিলে ভালোবাসি। সেদিন ছিল আমার জীবনের সবচাইতে সুন্দর দিন। এই কথাটি শোনার পর আমার হৃদয়ে একটি প্রশান্তির বাতাস বয়ে গিয়েছিল।তখন মনে হয়েছিল যে এই ভালবাসার হাত টি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর ছাড়বো না।
যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম সেদিন এই হৃদয় তোমাকে আপন করে নিয়েছিলাম।তোমার প্রতি আমার যে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলাম সে বিশ্বাসটা এখন পর্যন্ত আছে। তুমি আমার কাছে হাজারো ভুল করলে তা আমার কাছে ভুল নয়। আমি ভাববো সেটি তুমি না বুঝে করেছিলে। কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি। যাকে ভালবাসবে তার ভালো এবং খারাপ দিক দুটো মিলেই ভালবাসবে।তা না হলে সেটা ভালোবাসা নয় সেটা ক্ষণিকের চাহিদা। আমার হৃদয়ের দরজা তোমার জন্য চিরজীবন খোলা থাকবে। তুমি যদি কখন আসতে চাও তাহলে আমি তোমাকে কখনো ফিরিয়ে দিব না। কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি। প্রেম করেছে লাইলি মজনু প্রেম করেছে শিরি ফরহাদ প্রেম করেছে রাজা বিখারী ওরা প্রেম করে হয়েছে বৈরাগী। ভালোবাসা ধনী-গরিব বোঝেনা ,ধর্ম বোঝেনা, শুধু দুটি হৃদয়ের মিলনে ভালোবাসা হয়ে যায়। আমি তোমাকে কোনদিন অভিশাপ দেব না। কারণ হয়তো বা আমারই কোন ভুল ছিল। যার কারনে আজ তুমি আমাকে ছেরে অন্য কারো হাত ধরে চলে গেছো। এজন্য নিজের ভুল বেভে নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করছি।
তোমাকে নিয়ে সর্বক্ষণ ভাবতেই ভালো লাগে। তোমার সেই পুরনো ছবিগুলো এখনো আমার কাছে রয়ে গেছে। যখনি তোমার কথা খুব মনে পড়ে তখনই ছবিগুলো দেখি। আর অনুভব করি তুমি মনে হয় আমার পাশে বসে আছো। তোমার কি মনে পড়ে সেই নদীর ধারে তুমি আর আমি একাকী বসে ছিলাম। তোমার কোলে মাথা রেখে আমি শুয়ে ছিলাম আর তুমি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলে। তোমার কি মনে পড়ে সেই নৌকা ভ্রমণের কথা। তুমি আর আমি নৌকায় বসে ছিলাম।তুমি তোমার পা দুটো পানিতে ডুবে রেখেছিলে আর হাত দিয়ে আমাকে পানি দিচ্ছিলে। কত সুন্দর ছিল সেই রঙিন মুহূর্তগুলো। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আজ আমি বড় একা। আজ আমার পাশে কেউ নেই। হৃদয়ের এই বুক ভরা কান্না দেখার মত কেউ নেই। কেউ ফোন করে বলবে না তুমি খেয়েছ কিনা। কি করতেছো তুমি বলার মানুষটি হারিয়ে গেছে। আজ বড় একা।
তোমাকে ছাড়া কিছুই আমি ভাবতে পারিনা। সারাদিন শুধু তোমার কথাই মনে পড়ে। শুতে গেলে তোমার কথা মনে পড়ে, ঘুম থেকে উঠার পর তোমার কথা মনে পড়ে। খাইতে গেলে তোমার কথা মনে পড়ে। তোমার সেই মিষ্টি হাসি তোমার সেই চাহনি আজও আমি বুলতে পারিনা। কেন তুমি এমন করলে। আর কিছুটা দিন কি অপেক্ষা করা যেত না। মনের আবেগে অনেক কথাই বলে ফেলেছি। এর মধ্যে যদি কোন প্রকার ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা করে দিও। বিদায় বেলায় একটি কথাই বলতে চাই ভালো থেকো সুখে থাকো, তোমার সুখী জীবন কামনা করি। আজকে এখানকার মতো সমাপ্তি।
ইতি
অসাধারণ প্রেমের চিঠি
এই ক্ষুদ্র জীবনে তুমি আসলেই একজন স্বপ্ন পুরুষ হয়ে এসেছো... তোমার সাথে কথা বলতে বলতে আমি আমার "আমি" কে আবিষ্কার করতাম নতুনভাবে । নিজের মনের গোপন দরজা গুলো তুমিই এসে খুলে দিলে ।
তুমি কি জানো , আমি একটা অপূর্ণ মানুষ ? তুমি কি আমায় পূর্ণতা দিবে বোলো ? বিনিময়ে তোমায় আমি অজস্র ভালোবাসা দিবো , আর তোমার জীবনের সবটুকু পথ পাড়ি দিবো একসাথে......
ইচ্ছে করে তোমায় নিয়ে দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে... যেখানে কোলাহল থাকবে না । কারো দৃষ্টিকটু হবো না , তিরস্কারের চোখগুলো দেখতে পাবো না । কিংবা ফিসফিস করে মন্দ কথা কানে পৌঁছবে না আমাদের...
আমি পরবো নীল শাড়ি আর তুমি সাদা পাঞ্জাবী । একটি ছোট নীল টিপ কপালে , কপালের টিপ টি মাঝখানে হয়েছে কিনা সেটা তুমি ঠিক করে দিবে , আর হাত ভর্তি নীল চুড়ি তো থাকবেই । চোখের কাজল এর কথা আমিও নই, তুমিও নও, দুজনের কেউই ভুলবো না। হয়তো কোন নদীর ধারে বসবো আমরা । হাতে হাত রাখবো হয়তো নিজেদের অজান্তে । পাশে বসা মুহূর্ত গুলো আমরা নীরবে অনুভব করবো । দুয়েকটা ছোট কথায় জানিয়ে দিবো মনের সকল অব্যক্ত অনুভূতি , যা তোমায় ঘিরে তৈরি হয় প্রতিনিয়ত......... দুজন পাশে আছি এটার সান্নিধ্য সকল মনপ্রান দিয়ে অনুভব করবো ।
কখনো তোমাকে বলা হয় নি , "ভালবাসি তোমায়" ! ! সেদিন না হয় বলেই দিবো এক ফাঁকে , মৃদু স্বরে । আমার সবটুকু ভালোবাসা তোমায় ঘিরে , বলেই দিবো এতদিনের না বলা কথাগুলো । তুমি শুনবে আর হাসবে... অবাক হয়ে বলবে , "তুমি এত কথা বলতে পারো ?! জানতাম না তো" ! তোমার এই কথা শুনে আমি হাসবো ঠিকই কিন্তু তার পরেই আবার তোমার অবাক চোখ উপেক্ষা করে কথা বলতে থাকবো......... তুমি তন্ময় হয়ে শুনবে ।
তুমি যে প্রতি রাতে আমার স্বপ্নে আসো , সেদিন বলে দিবো তোমায় তোমার দেওয়া গোলাপের তোড়া , আর বেলিফুলের মালা পেয়ে কি যে খুশী হয়েছি । চোখে পানি এসে গিয়েছিলো প্রায় , তাই তো তোমার দিকে উলটো দিক দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিলাম যেন আমার চোখের পানি দেখতে না পাও । কিন্তু তুমি হুট করে সামনে এসে পরলে । কেন যে এমন করো ! তিব্র ভালোবাসার চোখের পানি দেখাতে হয় বুঝি !!!
এখন থেকে কিন্তু তুমি প্রতিদিন আমার জন্য ফুল নিয়ে আসবে । যদি প্রতিদিন না নিয়ে আসো তবেও সমস্যা নেই , তোমাকে আমি প্রতিনিয়ত ভালবাসবো আগের চেয়ে বেশী...
তোমার জন্য নীল খামের চিঠিটা নিয়ে এসেছিলাম , দেবো তোমায় ভালো থেকো প্রিয় , ভালো থেকো ।
ইতি
তোমার পাগলি
প্রপোজ করার রোমান্টিক চিঠি
প্রিয়তমা,
চিঠি শুরুতেই তোমাকে জানাই আমার মনের গভীর থেকে আন্তরিক ভালবাসা। তোমাকে যেদিন প্রথম দেখি সেদিনই তোমার প্রেমে পড়ে যাই। বলতে গেলে প্রথম দেখায় ভালোবাসা। তোমার ওই টানা টানা মায়াবী দুটি চোখ। তোমার মুখের এই মিষ্টি হাসি আমাকে পাগল করে দেয়। তোমাকে দেখলেই মনে একটা আলাদা ফিলিংস জাগে সেটা তোমাকে বলে বুঝাতে পারব না। ভালোবাসা কাকে বলে আমি জানিনা।তবে তোমাকে দেখার পর এটুকু বুঝতে পারছি যে তোমাকে ছাড়া আমি আর বাঁচবো না। তুমি আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসা। আমার এই ভালবাসার কোনো কমতি নেই। সারাটা জীবন তোমার সাথে সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে চাই। তোমার জন্য আমার ভালোবাসায় কোনো কমতি নেই। হয়তো আমি কোনদিন তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি। কিন্তু তোমার জায়গা কেউ দখল করতে পারবে না। তুমি শুধু আমার।সারা জীবন আমি তোমাকেই ভালোবেসে যাবো। যদি কোনদিন আমার কথা তোমার মনে পড়ে।তাহলে তোমার মনের ভাষায় একটি ভালোবাসার পত্র লিখ। আর বেশি লিখবো না।
ইতি
তোমার প্রিয়।
কাব্যিক প্রেমের চিঠি
দ্বন্দ্বমুখর প্রেমের চিঠি
মেক্সিকোর জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। সৃজনশীল জগতের এক বিস্ময়। জীবন ও সৃষ্টিকর্মকে এনেছেন অনন্য যোগসূত্রে। রঙ-তুলির এই কারিগর জীবনে নানা সমস্যায় পড়েন। ছেলেবেলার দুঃসহ দুর্ঘটনার স্মৃতি, মা হতে না-পারার অতৃপ্তি, জন্ম-মৃত্যুর ভাবনা এবং প্রিয়তম দিয়েগোর সঙ্গে ব্যক্তিজীবনের নানা দ্বন্দ্বমুখর সম্পর্কের বেড়াজালে কাটিয়েছেন। অসাধারণ এই চিত্রকর দিয়েগোকে চিঠিতে লেখেন, ‘দিয়েগো, সত্য এত মহান যে, আমি কথা বলতে, শুনতে এবং ঘুমোতে তোমায় ভালোবাসতে চাই না। না পাওয়ার যন্ত্রণা আমার হৃদয়ের মারাত্মক ফাঁদ মনে হয়। হয়তো তুমি বলবে এসব নিছক পাগলামি। তবে আমি জানি, তোমার নীরবতা আমার জন্য কেবল বিভ্রান্তিই হবে। আমি তোমাকে আঁকতে চাই। কিন্তু এমন কোনো রঙ আছে কী! কারণ এটা আমার ভালোবাসার বাস্তব রূপ।’
গভীর প্রেমের চিঠি
প্রিয় রাজকন্যা রাজকুমারী,
ভালবাসা কাকে বলে? ভালবাসা কি? সেটা এতদিন জানা ছিল না। যখন প্রথম তোমাকে দেখলাম ঠিক তখনই অনুভব করতে পারলাম ভালবাসাটা ঠিক কি? বুকের বাম পাশের শূন্যতা কি ভাবে মিটে যায়, তোমায় একটি বার দেখাতে কিংবা তোমার একটি এস এম এসে। তোমার দেখার পরই, কেমন জানি ভিন্ন আমি হয়ে গেছি।আমাতে আমি খুঁজে পাই না, তোমাকে পাই।এখন স্বপ্ন দেখার জন্য ঘুমাতে হয় না, কারণ আমার সমস্ত কল্পনা জুড়ে শুধু তুমি, তুমিময়। স্বপ্ন আর কি চাই? না। জানো মাঝে মাঝে মনে হয় যদি এমন হতো পৃথিবীটা, যেখানে শুধু তুমি আর আমি ছাড়া, কেউ নেই। দুজন দুজনার দিকে চেয়ে চেয়ে কাটিয়ে দিতাম সারাটা জীবন, গভীর ভালবাসায়। আর জোছনা ভরা রাত,খোলা আকাশের নিচে তুমি আমার কুলে মাথা রেখে আবদার করছো, ওই চাঁদটা আমি চাই! আমি মুটো ভরে চাঁদের জোছনা মাকিয়েছি তোমার গায়ে।
তুমি চন্দ্রীমার চন্দ্রাবতী সেজেছিলে সে দিন রাতেই। আরও কতো কিছু।
সেদিন ই প্রথম বুঝা হয়েছিল, ভালবাসার মানুষটা কি? তাকে ছাড়া নিজেকে কেন পাগল মনে হয়। কেন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে এই ভালবাসায়।
জানো রাজকুমারী, রাত্রের নিদ্রা এখন বিদায় নিয়েছে চোখ থেকে, এই চোখে যে তোমার বসবাস। উপমা দিয়ে আমি বলতে পারি না রাজকন্যা। তবে যতটুকু নিজেকে জানি, তোমাকে ছাড়া একটা সেকেন্ড সময়ও যেন, অনেক।
তুমি যেন মিশে থাকো আমার আত্মায়, আর আমি তোমায় সাজাই মনের মতো করে, স্বপ্নের রং দিয়ে।এমনটাই কি হবে রাজকুমারী?
রাজকন্যা, এ রকম-ই হয় ভালবাসা।তবে কি জানো এটা পাগলামি নয়। এটাই ভালবাসা। আর একে বুজতে হয়। ভালবাসা কখনও এমনি হতে পারে না কিংবা রুপ দেখে। যখন নিজের মধ্যে দিয়ে তোমার মনটা ভেসে উটে। সেটাই ভালবাসা।আর তোমাকে দেখে এমনটাই হয়েছিলো।কি যেন একটা জিনিস তোমার কাছে আছে যা আমাকে আর্কষন করে। যেমনটা লোহা চুম্বকে। ঠিক সেই রকমটা হয়।
যে ছেলেটা ভালবাসার কিছুই জানতো না, সে কিভাবে এতটা ভালবাসা বুঝে যায়?
এটাই ভালবাসার অবাক শক্তি। যা সকল বাঁধা থেকে মুক্ত করে প্রেম কে। কোন শক্তিই জয়ি নয় এই শক্তির কাছে।
যদিও আমি জানি এ সবই আবেগ। তবে মনে রেখে আবেগও মাঝে মাঝে সত্য হয়।
ইতি