অবহেলিত মুচির ছেলে যখন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার - A neglected cobbler's son while a software engineer
অবহেলিত মুচির ছেলে যখন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার - A neglected cobbler's son while a software engineer.
আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় অতিথি - নিওটেরিক আইটি থেকে আপনাকে স্বাগতম । আপনি নিশ্চয় অবহেলিত মুচির ছেলে যখন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার - A neglected cobbler's son while a software engineer সম্পর্কিত তথ্যের জন্য নিওটেরিক আইটিতে এসেছেন । আজকে আমি অবহেলিত মুচির ছেলে যখন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার - A neglected cobbler's son while a software engineer নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে এই আর্টিকেল সম্পন্ন করব । অবহেলিত মুচির ছেলে যখন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার - A neglected cobbler's son while a software engineer সম্পর্কে আরো জানতে গুগলে সার্চ করুন - অবহেলিত মুচির ছেলে যখন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার - A neglected cobbler's son while a software engineer লিখে অথবা NeotericIT.com এ ভিসিট করুন । মোবাইল ভার্সনে আমাদের আর্টিকেল পড়ুন । এই আর্টিকেলের মূল বিষয় বস্তু সম্পর্কে জানতে পেইজ সূচি তালিকা দেখুন। ওয়েব স্টোরি দেখুন
অবহেলিত মুচির ছেলে যখন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, অবহেলিত ছেলেটি,ভালোবাসার গল্প,অবহেলিত ছেলের ভালো বাসা,অবহেলার গল্প,অবহেলিত ছেলের জীবন কাহিনী,অবহেলিত ছেলের যখন রোমান্টিক বউ,অবহেলিত ছেলেটি যখন পুলিশ অফিসার,প্রেমের গল্প,অবহেলিত গ্যাংস্টার ছেলেটি যখন ম্যাডামের ক্রাশ,পরিবারের অবহেলিত ছেলেটি যখন পুলিশ অফিসার,বাসর রাসের গল্প,মা বাবা ও ভাবীর অবহেলিত ছেলেটি যখন বাংলাদেশের সেরা বিজন্যাসমেন,অবহেলিত কৃষক ছেলেটি যখন ছদ্দবেশী পুলিশ অফিসার,অবহেলা,মা-বাবার অবহেলা,রোমান্টিক প্রেমের গল্প,দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের গল্প ইত্যাদি লিখে যারা গুগলে সার্চ ইঞ্জিনে নিয়মিত বা প্রতিদিন সার্চ করেন তাদের জন্য আজকের গল্প ।
অবহেলিত মুচির ছেলে যখন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার - A neglected cobbler's son while a software engineer
অবহেলিত মুচির ছেলের গল্প
#অবহেলিত_মুচির_ছেলে_যখন_সফটওয়্যার_ইন্জিনিয়ারি
#লেখক-ঃ Rahul Raj
#পর্ব-ঃ ০৪
রাহুল-ঃ কালকে রাতের ওই আংকেলটার কথা। আমি চিন্তা করে দেখলাম,,, আমি যদি আংকেল এর সাথে কথা বলে উনার মতো একটা গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করে দেন তাহলে ত ভালো হতো। বাবার ও অনেক সাহায্য হবে সাথে আমার পড়ার খরচ ও উঠে যাবে, কিন্তু আমায় পার্টটাইম জব কি কেউ দিবে আর আমি গাড়ি চালানো ত পারি না।
৩য়-ঃ রাহুল এসব চিন্ত করছিলো, তখনই রাহুলের ফোন বেজে উঠে। রাহুল ফোন বের করে দেখতে পায় মামুন কল দিয়েছে, রাহুল ফোন রিসিভ করে বলে....
রাহুল-ঃ হ্যালো মামুন বল?
মামুন-ঃ আজকে ভার্সিটিতে আসলি না কেনো?
রাহুল-ঃ ভালো লাগছিলো না, তাই।
মামুন-ঃ কোথায় তুই এখন?
রাহুল-ঃ নদীর পাড়ে বসে আছি
মামুন -ঃ আমি আর বিশ্বজিৎ আসছি, তুই থাক ওই জায়গায়।
৩য়-ঃ রাহুল ফোন রেখে দে, তারপর আবার নদীর জলের দিকে তাকিয়ে আছে রাহুল। কিছুসময় পর গাড়ি থামার শব্দ শুনতে পায় রাহুল, পিছনে তাকিয়ে দেখে মামুন আর বিশ্বজিৎ আসছে। মামুন আর বিশ্বজিৎ রাহুলের কাছে এসে বসে, তখন বিশ্বজিৎ বলে.....
বিশ্বজিৎ -ঃ কি রে ভার্সিটিতে আসলি না যে আজকে?
রাহুল-ঃ ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে, তাই আর যাই নাই।
মামুন -ঃ কালকে ফোন দিলাম রাতে রিসিভ করলি না যে?
রাহুল-ঃ ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, তাই করি নাই।
৩য়-ঃ হটাৎ করে বিশ্বজিৎ এর চোখ পরে রাহুলের পায়ের দিকে, তখন বিশ্বজিৎ বলে...
বিশ্বজিৎ -ঃ কি রে রাহুল তোর পায়ে ওটা কি বাধা?
রাহুল-ঃ আমি তাকিয়ে দেখলাম,, বাতাসের কারনে লুঙ্গি কিছুটা হাঁটুর উপরে উঠে গেছে আর কালকে দাদির দেওয়া ব্যান্ডেজ দেখা যাচ্ছে। আমি লুঙ্গি দিয়ে ডেকে বললাম.... কই কিছু না।
মামুন -ঃ দেখি কি?
রাহুল-ঃ আরে কিছু না রে? লুঙ্গি বর্ডার হবে?
বিশ্বজিৎ-ঃ দেখতে ত আর সমস্যা নেই?
৩য়-ঃ তারপর মামুন আর বিশ্বজিৎ মিলে রাহুলের ব্যান্ডেজ খুলে দেখতে পায় জায়গা কালো হয়ে আছে, আর এখনো কিছু রক্ত এখনো লেগে আছে?
তখন মামুন বলে....
মামুন -ঃ কি করে হলো এটা?
রাহুল-ঃ আ....
মামুন-ঃ কি করে হলো বলবি ত?
বিশ্বজিৎ-ঃ এবার বুঝেছি তর ভার্সিটি না যাওয়ার কারন?
রাহুল-ঃ ধুর কি বলছিস তোরা?
মামুন-ঃ বলবি কি হয়েছে?
৩য়-ঃ তখন বিশ্বজিৎ মামুনকে বলে....
বিশ্বজিৎ-ঃ আজকে ঋতু ভার্সিটিতে আমাদের কি বলেছিলো মনে আছে?
মামুন-ঃ হ্যা। কিন্তু এটা....
বিশ্বজিৎ-ঃ রাহুলের এর পিছনে ঋতুর হাত নেই ত?
মামুন-ঃ কি রে রাহুল বলছিস না যে?
রাহুল-ঃ....
মামুন -ঃ আজকে এই ঋতুর একটা ব্যবস্থা করতে হবে?
রাহুল-ঃ না, তোরা কোথাও যাবি না। আর ঝামেলা করে লাভ নেই ।
বিশ্বজিৎ -ঃ ওকে, তাহলে বল কি করে হলো এটা?
রাহুল-ঃ আচ্ছা বলছি শুন,...... তোরা ওর সাথে কোন কিছু করবি না আর কিছু বলবি না।
মামুন-ঃ আমার মন চাচ্ছে ওকে যে কি করতে?
বিশ্বজিৎ-ঃ কি করবি বলতো, এই মেয়ের অনেক বাড় বেড়েছে।
রাহুল-ঃ কিছু করতে হবে না।
মামুন-ঃ তাহলে ভার্সিটি গিয়ে তুই ঋতুর অত্যাচার সহ্য করবি?
রাহুল-ঃ সহ্য করা ছাড়া আর কিছু করার আছে কি? আমি হলাম একজন মুচির ছেলে, এমনেই বাবা অনেক পরিশ্রম করে আমায় এতদূর পড়াশোনা করিয়েছেন। এখন ত আমার উচিত বাবার এই কষ্ট আর পরিশ্রমকে সুখে পরিনত করা, তাই শতকষ্ট সহ্য করে আমি আমার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হবে। তোরা বাবা আর মাকে কিছু বলবি না ভার্সিটির ব্যাপারে।
বিশ্বজিৎ-ঃ কিন্তু ঋতু ত?
রাহুল-ঃ জানিস ত আমাদের অবস্থা, তারপর আমায় চুপ থাকতে হবে।
ভালোকথা মনে পড়ে পড়েছে,,, তোদের সাথে একটা কথা শেয়ার করতে চাই।
মামুন-ঃ কি?
রাহুল-ঃ কালকে রাতে একজন আংকেল এর সাথে কথা হয় আমার......সবকিছু বললাম ওদের।
বিশ্বজিৎ -ঃ এখন কি করবি?
রাহুল-ঃ আমি চাচ্ছিলাম ড্রাইভিং শিখতে, এখন মামুন তুই যদি আমায় শিখাইতি তোর ত গাড়ি আছে ?
মামুন -ঃ আরে চিন্তা করিস না, আমার চাচ্চুর ড্রাইভিং স্কুল আছে আমি চাচ্চু সাথে কথা বলে নিবো।
বিশ্বজিৎ-ঃ ওই মামুন আমি ও ড্রাইভিং শিখব, আমার জন্য কথা বলিস?
মামুন -ঃ আচ্ছা বলব।
৩য়-ঃ তারপর ৩জন মিলে আড্ডা দিয়ে চলে যায়, রাহুল বাড়িতে এসে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে। বিকালে ঘুম থেকে উঠে চলে যায় বাজারে, বাজারে গিয়ে তার বাবার সাথে জুতা সেলাইয়ের কাজে হাত লাগায়। রাত ৮ টায় রাহুল আর তার বাবা চলে আসেন বাড়িতে, রাহুল হাত মুখ ধুয়ে হালকা কিছু খাবার খেয়ে পড়তে বসে। পড়া শেষ হলে রাত ১১ টায় খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে।
পরেরদিন ভোরে রাহুলের ঘুম ভেঙে যায়, রাহুল ঘুম থেকে উঠে কিছুসময় এক্সারসাইজ করে নে। এক্সারসাইজ শেষ করে রাহুল হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসে, সকালের খাবার খেয়ে রাহুল বেরিয়ে পড়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্য। ভার্সিটি গেইটের কাছেই রাহুল আসতে দেখতে পায় মামুন, রাহাত, বিশ্বজিৎ সামিরা আর একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রাহুল কাছে এসে সবার সাথে কথা বলে নে, তারপর সামিরা বলে....
সামিরা-ঃ রাহুল পরিচয় হয়ে নে, এই হলো আমার বান্ধবী +কাজিন মিথিলা।
রাহুল-ঃ হাই।
মিথিলা-ঃ হ্যালো।
৩য়-ঃ তারপর সবাই মিলে ক্লাসে চলে যায়। আর এইদিকে ঋতুরা বসে রাহুলদের যাওয়া দেখছে, তখন মারিয়া বলে....
মারিয়া-ঃ ঋতু দেখছিস ওই মুচির ছেলের সাথে ওরা কিভাবে মিশেছে?
ঋতু-ঃ ছোটলোকরা ত ছোটলোকদের সাথে থাকবেই ত?
হৃদয় -ঃ হুম ঠিক বলেছিস তুই, এই মুচির ছেলেকে আরেকদিন কিছু মাইর দিতে হবে।
ঋতু-ঃ কেন? তোর হাত কি চুলকাচ্ছে?
হৃদয়-ঃ হ্যা রে।
ঋতু-ঃ অপেক্ষা কর, সময় এলে মিটিয়ে নিস?
দিবা-ঃ কোন প্ল্যান করছিস ঋতু?
ঋতু-ঃ কয়েকটা করেছি, একটা একটা করে প্রয়োগ করব। এখন চল ক্লাসে।
৩য়-ঃ ঋতুরা ক্লাসে প্রবেশ করার সাথে সাথো ক্লাস রুম পুরো শান্ত হয়ে গেলো, ঋতু একবার তাকিয়ে দেখে নিলো সবাইকে। কিছুসময় পর স্যার এসে ক্লাস নেওয়া শুরু করেন, ক্লাসের মাঝেই স্যার খেয়াল করলেন ঋতু ক্লাস না করে মোবাইলে কি জানি করছে। তখন স্যার ঋতুকে বললেন....
স্যার-ঃ মিস ঋতু মাফিয়া সামনে আসেন আপনি?
৩য়-ঃ স্যার এর কথা শুনে ঋতু ফোন পকেটে রেখে স্যার এর সামনে গেলো, স্যার তখন একটা একটা করে কয়েকটা সংখ্যা লিখে বলেন....
স্যার-ঃ এটার বাইনারি করো ত তুমি?
৩য়-ঃ স্যার ঋতুর হাতে মার্কার দিয়ে এসে চেয়ারে বসেন, ঋতু একবার হোয়াইটর্বোড এর দিকে তাকাচ্ছে আর একবার স্যার এর দিকে। ক্লাসের সবাই তাকিয়ে আছে ঋতুর দিকে, কিছুসময় পর স্যার বললেন.....
স্যার-ঃ কি হলো পারছো না তুমি?
ঋতু-ঃ......
স্যার-ঃ অবশ্য পারবে কি করে? ভার্সিটি আসলে গ্যাং নিয়ে আর ক্লাসে আসলে মোবাইল নিয়ে, তোমার যদি ক্লাস করার ইচ্ছে না থাকে তাহলে কালকে থেকে আমার ক্লাসে আসবে না। আজকে সারা ক্লাস এখানে দাঁড়িয়ে থাকবে,
৩য়-ঃ স্যার তখন রাহুলকে উদ্দেশ্য করে বললেন....
স্যার-ঃ রাহুল এটার বাইনারি করে দেখাতে পারবে?
রাহুল-ঃ চেষ্টা করে দেখতে পারি স্যার।
স্যার-ঃ আচ্ছা আসো।
রাহুল-ঃ তারপর আমি স্যার এর কাছ থেকে মার্কার নিয়ে আমি বোর্ডে সংখ্যাগুলোর বাইনারি করতে লাগলাম, এইদিকে ঋতু আমায় বলছে....
ঋতু-ঃ এটা করিস না, তাহলে তোর জন্য ভালো হবে। যদি করিস তাহলে তোকে এর মাশুল দিতে হবে।
রাহুল-ঃ আমি ঋতুর কথা কানে না তুলে আমার কাজে মনোযোগ দিলাম, কিছুক্ষণ পর স্যারকে বললাম,,, স্যার বাইনারি করা শেষ।
স্যার-ঃ রাহুলের বলার পর আমি তাকিয়ে দেখলাম রাহুল ভালোভাবে বাইনারিগুলো করতে পারছে, আমি তখন বললাম,,, সবাই রাহুলের জন্য হাত তালি।
৩য়-ঃ সবাই হাত তালি দিলো শুধু ঋতুর গ্যাং ছাড়া, মামুন, রাহাত,বিশ্বজিৎ আর সামিরা ঋতুকে জ্বালানোর জন্য স্কাউটের স্বাগতম তালি দিতে লাগলো। ঋতু এটা দেখে ত রেগে বোম হয়ে আছে। স্যার আরো কিছু সময় ক্লাসে নিয়ে যাওয়ার সময় রাহুল আর মামুনকে বলেন...
স্যার-ঃ রাহুল আর মামুন তোমরা আমার সাথে এসো।
৩য়-ঃ রাহুল আর মামুন স্যার এর সাথে চলে যায়, স্যার এর রুমে এসে রাহুল আর মামুনকে বসার জন্য বললেন স্যার। কিন্তু ওরা না বসে দাঁড়িয়ে রইলো, তখন স্যার বললেন....
স্যার-ঃ রাহুল তুমি যে CSE তে ভর্তি হয়েছো তার জন্য তোমার একটা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর প্রয়োজন, তোমার কি বাসায় ল্যাপটপ বা কম্পিউটার আছে।
রাহুল-ঃ স্যার এর কথা শুনে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেলো, আমার ত মনেই ছিলো না আমার যে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নাই। আমি তখন মাথা নাড়িয়ে না বললাম,,
স্যার-ঃ আচ্ছা তুমি চিন্তা করো না, আমাদের ভার্সিটির কয়েকটা ল্যাপটপ অতিরিক্ত আছে। আমি তোমার জন্য কথা বলে অধ্যক্ষ স্যারের সাথে কথা বলে নিয়েছি? অধ্যক্ষ স্যার বলেছেন তোমার জন্য একটা দিয়ে দিতে।
রাহুল-ঃ আমি স্যার এর কথা শুনে অনেক খুশি হলাম, আমি স্যার এর পায়ে ধরে সালাম করলাম। তখন স্যার বললেন....
স্যার-ঃ তবে তোমায় কথা দিতে হবে,, তোমাদের ২২ ব্যাচ থেকে একটা টিম তৈরি করা হবে, এবছরের শেষে আমাদের এশিয়ার ভিতরে ৪৫তম প্রোগ্রামিংপ্রতিযোগিতা হবে। এশিয়ার সকল ভার্সিটির CSE Department এর একটা করে টিম অংশগ্রহণ করবে এই প্রতিযোগিতায়। প্রোগ্রমিং সহ আরো কিছু বিষয় নিয়ে সেই প্রতিযোগিতা হবে, এখানে কয়েকটা সমস্যা দেওয়া হবে যারা যত তাড়াতাড়ি সমস্যা সমাধান করতে পারবে তারা চ্যাম্পিয়ান হবে। যেই করে হোক আমাদের চ্যাম্পিয়ান হতে হবে।
মামুন -ঃ স্যার আপনি দোয়া আর আমাদের কিছু দিকনির্দেশনা দিলে আমরা আমাদের সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করব।
স্যার-ঃ হুম, তবে আমি তোমাদের ব্যাচ থেকে তোমরা দুইজনসহ, রাহাত, বিশ্বজিৎ, সামিরা আর মিথিলাকে সিলেক্ট করেছি। তোমরা রেগুলার ক্লাস ভার্সিটিতে করবে, আর প্রত্যেকদিন সকাল ৮ টায় আমার বাসায় তোমাদের নিয়ে ক্লাস করাবো।
রাহুল-ঃ স্যার ভালোই হবে, তবে....
স্যার-ঃ তবে কি?
রাহুল-ঃ স্যার ওই ঋতু মেয়েটা যদি কিছু করে?
মামুন-ঃ স্যার ঋতু রাহুলের এই ভার্সিটিতে আসার প্রথম দিন থেকে শুরুকরে....... এইসব কাজ করেছে।
স্যার-ঃ রাহুল তুমি জানাও নি কেন আমাদের?
রাহুল-ঃ এসব ঝামেলা আমি পছন্দ করি না আর আমার পরিবার ও তাই আমি এইসব কিছু এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি স্যার।
স্যার-ঃ আচ্ছা, আমি দেখব। আর এই ক্লাসের কথা কেউ যাতে জানতে না পরে শুধু তোমরা ৬ জন ছাড়া।
রাহুল-ঃ জ্বী স্যার।
মামুন-ঃ মনে থাকবে স্যার।
৩য়-ঃ তারপর রাহুল আর মামুন ক্লাসে চলে যায়, ক্লাস শেষ করে মামুন সবাইকে নিয়ে তার বাসায় নিয়ে যায়। রাহুল যেতে চাইছিলো না কিন্তু মামুনের জোরাজোরির কাছে হার মেনে যেতে হয়েছ।এইদিকে দিবা ঋতুকে বলছে.....
দিবা-ঃ ঋতু ক্লাসে এভাবে অপমান হওয়ার কোন মানে আছে কি?
ঋতু-ঃ মানে?
দিবা-ঃ আমরা ভার্সিটিতে আসছি কেন?
ঋতু-ঃ কেন?
দিবা-ঃ পড়ালেখা করার জন্য, কিন্তু সেটা ত আমাদের হচ্ছে না। এবার এসব বাদ দিয়ে আমাদের পড়লেখায় মনযোগ দেয়া দরকার।
ঋতু-ঃ ধুর স্যার এর এসব কথা কানে নিচ্ছিস কেন তুই?
দিবা-ঃ তোর মানসম্মান না থাকতে পারে আমার আছে, তাই আমি ঠিক করেছি আমি আর তোদের সাথে চলাফেরা করব না।
ঋতু-ঃ দিবা তুই কি বলছিস?
দিবা-ঃ হ্যা আমি ঠিক করছি, আর তোর সাথে থেকে আমি অনেক খারাপ কাজ করেছি। এখন থেকে ভালো কাজ করার চেষ্টা করব, আর ঋতু সময় থাকতে নিজেকে একটু বদলানো দরকার তোর।
ঋতু-ঃ দিবা একটু আগে তুই যেই কথাটা বললি না? এটা যদি তুই ব্যতীত অন্য কেউ বলতে তাহলে তার অবস্থা খারাপ করে দিতাম। যা তোর মতো মেয়ে আমাদের সাথে থাকার যোগ্য না, যা যা।
দিবা-ঃ হুম তুই ঠিক বলেছিস।
৩য়-ঃ দিবা চলে আসে ঋতুদের কাছ থেকে, এইদিকে মামুন সবাইকে নিয়ে তার বাসায় চলে যায়। বাসার একটা রুমে গিয়ে চারজন বসে, তারপর মামুন আর রাহুল বাকি চারজনকে উদ্দেশ্য করে বলে....
রাহুল-ঃ..........
সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
বোনেরা অবশ্যই পড়বেন অবহেলিত মুচির ছেলে যখন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার - A neglected cobbler's son while a software engineer শয়তান কাজিন প্রেমিক - ভালোবাসার গল্প - Devil Cousin Lover অনাকাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা - ভালোবাসার গল্প - unrequited love গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ ম্যাম - রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প হযরত সাদ সালামি (রাঃ)-এর ১টি ঘটনা হও তুুমি পর্দাওয়ালী - pordawali গুরুত্বপূর্ন্য ৪টি নফল নামাজ ও তার ফজিলত - important prayer সুন্দর একটা রিলেশনশিপের গল্প - A beautiful relationship story ভালোবাসাই যথেষ্ট নয় - Love is not enoughআপনি আসলেই নিওটেরিক আইটির একজন মূল্যবান পাঠক । অবহেলিত মুচির ছেলে যখন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার - A neglected cobbler's son while a software engineer এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ । এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবস্যয় আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন । মানুষ হিসেবে না বুঝে কিছু ভুল করতেই পারি , তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন ।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না ।
comment url