প্রেম কাহিনী রোমান্টিক,প্রেমের গল্প,টাকা থাকলে তুমি সেরা প্রেমিক,মাদ্রাসার ছেলে এবং এক পরীর প্রেমের সত্য কাহিনী,রোমান্টিক প্রেমের গল্প,ভার্সিটির টিচার যখন রোমান্টিক প্রেমিক,পরীর প্রেম,অসমাপ্ত প্রেম,স্যারের সাথে প্রেম,জিনের কাহিনি,পরীর কাহিনী,জ্বীনের কাহিনী,দুধওয়ালা থেকে ম্যাজিস্ট্রেট,জিন,কলেজের টিচার যখন ক্রেজি লাভার,ভার্সিটির টিচার যখন ক্রেজি লাভার,মাঠে কাজ করে কোটিপতি,সত্যি কারের ভালোবাসা,ছাত্রী যখন রোমান্টিক বউ,ক্রাশ যখন হ্যান্ডসাম স্যার ইত্যাদি লিখে যারা নিয়মিত গুগলে সার্চ করেন তাদের জন্য আজকের এই সুন্দর গল্প । শেষ পর্যন্ত পরুন ।
দিহানের রাগী মুখ দেখে,দিয়া মুখে একটা সুইট হাসি এনে,দিহানের রাগকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ওমা এই দিহান ব্যাটার রাগ চেহারা থেকে যাচ্ছে না।দিয়া নিজের সুইট হাসিকে গালি দিতে থাকে।সামনের মানুষ টার রাগ যদি তোর হাসি দেখে না উধাও হয়,তাহলে এই হাসি রেখে কী লাভ।
"এই দিয়া তোমার সমস্যা টা কোথায়?আমায় একটু বলবে,হ্যাঁ?
" আমার সমস্যা তো আপনি।
"মানে,বুঝলাম না।
" আপনি ওই মেয়েদের সাথে লুচুগিরি করছিলেন কেনো?
"আমি কখন লুচুগিরি করলাম?জাস্ট কথাই তো বললাম।
" আমি ছাড়া অন্য কারো সাথে কথা বলতে পারবেন না।বললেই সেটা লুচুগিরির আওতায় পড়বে।ওই মি.আপনি বুঝেন না আপনার প্রতি আমার Something Something ফিল হয়।গাধা দিহান একটা,কিচ্ছু বুঝে না।
দিয়া কথাগুলো বলেই হনহন করে হেটে চলে যায়।আর দিহান মুচকি হেসে দিয়ার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।
"
ইমরান,রাফসানকে উদ্দেশ্য করে বলে,
"এখন তোদের মিলেমিশে একাকার হওয়ার জন্য,তোদের নিজেদের পার্সোনাল টাইম স্পেন্ড করার জন্য আমি কী এখান থেকে চলে যাবো?
সিনহা অবাক হয়ে ইমরানের কথা শুনছে।এই ডেভিলটা কী বলছে কী?পার্সোনাল টাইম স্পেন্ড করবো মানে কী?সব তো মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে?ডেভিলটা করতে চাইছে টা কী?
" হুম ভাই তুই গেলে ভালো হয়।সিনহার সাথে একটু কথা বলতে পারতাম।☺
"আচ্ছা যাচ্ছি আমি।
ইমরান ঘুরে চলে যেতে নিলে,সিনহা তড়িৎ গতিতে দোলনা থেকে উঠে ইমরানের হাত চেপে ধরে।
" ভাইয়া এইসবের মানে কী?কোথায় যাচ্ছিস তুই?
"শুনেছিস তো,ও তোকে ভালোবাসে। তাই তোর সাথে একটু আলাদা করে কথা বলতে চাই।তাই সুযোগ করে দিচ্ছি।
" ভাইয়া তুই কী পাগল হলি? কী বলছিস তুই কোনো খেয়াল আছে তোর?ও আমাকে ভালোবাসে বললো, আর তুই তার কাছে আমাকে রেখে যাচ্ছিস?
"তোর আশা আমি কী করতাম,ওর সাথে?
"তোকে কিছু করতে হবে না।যা করার আমি করবো।
সিনহা ইমরানের হাত ছেড়ে দিয়ে,রাফসানের সামনে দাঁড়ায়।সিনহা বড় একটা নিশ্বাস নিয়ে বলতে শুরু করে,
" এই যে মি.আপনার নাম যেনো কী? থাক নাম যেনে আমার কোনো কাজ নেই।কী যেনো বললেন,ভালোবাসেন। আপনি আমাকে ভালোবাসেন বলে দিলেই,মনে করছেন আপনি আমার থেকে হ্যাঁ সূচক রেজাল্ট পাবেন।
মন কান দিয়ে শুনে রাখুন,আমি ওই ডেভিলটাকে(ইমরান} ভালোবাসি।একটু না অনেক অনেক ভালোবাসি।♥ওই ডেভিল টা ছাড়া,আমার মনে প্রানে অন্য কেউ নেই। আর কখনো হবেও না।তাই এইসব ভালোবাসা,খারাপ ভাষা আমাকে দেখাবেন না।আর হ্যাঁ আমার পিছুও ঘুরবেন না।আপনার কারনে আমার ডেভিলটা আমার সাথে বারবার রাগ করে।আমার সাথে ঠিকমতো কথা বলে না।মুখ ফুলিয়ে বসে থাকে।আর কখনো যেনো আমার ধারে কাছে আপনাকে ঘেষতে না দেখি।
সিনহা এক দমে কথা গুলো বলে রাফসানের সামনে থেকে সরে এসে, ইমরানকে ভেংচি দিয়ে ইমরানের পাশ কেটে চলে যায়।
ইমরান অবাক হয়ে,সিনহার কথা গুলো এতোক্ষন শুনে গেছে।ইমরানের নিজের কাছে মনে হচ্ছে,সে কোনো একটা ঘোরের ভিতরে বন্দি আছে। সিনহার কাছ এমন কিছু শুনবে সে আশা করেনি।পরক্ষনে সিনহার ভেংচি তে ইমরানের হুশ ফিরে আসলে,সে হেসে দেয়।সিনহার কথা গুলো শুনে, ইমরানের ভিতর এতোক্ষনে জমে থাকা সব রাগ নিমিষেই উধাও হয়ে,মুখে হাসির ঝলক ফিরে আসে।
সিনহার সব কথা রাফসানের মাথার উপর দিয়ে গেলো।সে ইমরানের দিকে ফিরে,জিজ্ঞাস করে,
"ভাই সিনহা এইসব কী বললো?
রাফসানের কথা শুনে,ইমরান মুখে গম্ভীর ভাব এনে জবাব দেয়,
" যা বলছে নিশ্চয় শুনছস।সবকিছুই সত্যি বলছে,এক দন্ডও মিথ্যা কথা বলেনি।
"ও তোকে ভালোবাসে?কিন্তু আমি যে ওকে ভালোবাসি।ওকে তুই ছেড়ে দে।
রাফসানের কথা ইমরানের ভয়ংকর রাগ উঠে।সে তেড়ে এসে কষিয়ে একটা থাপ্পড় মারে,রাফসানের গালে।রাফসানের কলার চেপে ধরে বলে,
"তোর সাহস কী করে হয়,এই কথা আমাকে বলার।একদম মেরে ফেলবো।
তোর ভাগ্য ভালো,তুই আমার ফুফাতো ভাই।তাই তোকে এখন পর্যন্ত কিছু করলাম না।কিন্তু লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি, ভুলেও যদি সিনহার আশেপাশে ঘুরঘুর করতে দেখি,তুই যে আমার ফুফাতো ভাই,এই কথাটা একদম ভুলে যাবো আমি।মনে থাকে যেনো।
ইমরান রাফসানকে ছেড়ে হনহন করে হেটে বাগান ত্যাগ করে,ভিতরে চলে যায়।
" থাপ্পড় যেহেতু খেতে হয়েছে।এই সিনহাকে নিজের করে না পাওয়া পর্যন্ত আমি ছাড়ছি না।এই সিনহাকে এখন নিজের করে পাওয়া,রাফসানের জিদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।খুব শীঘ্রই এই সিনহাকে নিয়ে নতুন কিছু হতে চলেছে।হাহা।
রাফসান,গালে হাত দিয়ে কথাগুলো ভেবে জোরে হেসে উঠে।
"লেখকঃইমতিহান ইমরান।
ইমরান সিনহাকে খুঁজছে।ম্যাডাম নিশ্চয় তার উপর রাগ করে আছে। ম্যাডামের তো রাগ ভাঙাতে হবে। ইমরান সিনহার রুমের কাছে এসে দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ,তার মানে সিনহা ভিতরে আছে। ইমরান দরজায় নক করে।
"কে?(ভিতর থেকে সিনহার আওয়াজ)
কিন্তু ইমরান মুখে কথা না বলে,দরজায় এবার জোরে থাপ্পড় মারে।
সিনহা মুখে বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলে,তাকে ঝাড়ি দিতে প্রস্তুত নিলে দেখে,তার ডেভিল দাঁড়িয়ে আছে। সিনহা,ইমরানকে দেখে অন্যদিকে ঘুরে যায়।
" কী চাই?
সিনহার কান্ড দেখে ইমরানের অনেক হাসি পায়।ইমরান হাসি কন্ট্রোল করে জবাব দেয়,
"আমার সিনহা রানীকে চাই।উনি কী এখানে আছে?
" না নাই,এখানে সিনহা নামের আপনার কোনো রানী নেই।আপনি ভুল নাম্বার ডায়াল করেছেন।
চাচা রুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল।এদের কথোপকথন শুনে চাচা শঠাং করে দাঁড়িয়ে যায়।তার ভাতিজা সিনহার সামনে দাঁড়িয়ে সিনহাকে জিজ্ঞাস করছে,সিনহা রুমে আছে কীনা?আবার তার জবাবে সিনহা জবাব দিচ্ছে,রুমে নাকী সিনহা নেই।চাচা হিসাব মিলাতে পারছে না,সিনহা যদি না থাকে,তো কী সিনহার ভূত দাঁড়িয়ে আছে?।চাচা ধরে নিয়েছে,তার ভাতিজা ভাতিজি দুজনে আজকে পাগলাগারদ থেকে পালিয়ে এসেছে।তা না হলে,এমন পাগলের মতো বকবে কেনো?
চাচার তাদের পাগলামী আর সহ্য করতে না পেরে,দুজোনের মাঝে এসে ঢুকে পড়ে।দুই হাত দিয়ে দুইটার হাত চেপে ধরে,
"অনেক হইছে পাগলামী।চল দুজনেই চল।আজকে তোদের দুইজনকে পাগলা গারোদে ভর্তি না করিয়ে আমি ছাড়ছি না।কী একটা অবস্থা তোদের?গায়ে হলুদের দিন'ই তোদের দুজনকেই পাগল হতে হলো?
চলবে...
"চাচা হচ্ছে টা কী?হাত ছাড়ো।আর কী সব আবলতাবল বলছো?
" ও আমারে তাহলে ছিনছস?তাহলে সিনহারে ছিনস না ক্যা।আর সিনহাও যে,নিজেরে ছিনে না।তোদের দুজনের কী হইছা,আমারে কও তো।
ইমরান,সিনহার দিকে তাকিয়ে বলে,
"সিনহা তুই রেডি হয়ে আয়।আমি চাচাকে নিয়ে যাচ্ছি।
" আমি যামু না।তোদের কী হইছে, আমারে কও আগে।
ইমরান জোর করেই চাচার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে।চাচা কিছু বলতে চাইলে,ইমরান ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লুঙীর কথা টেনে এনে,চাচার মন লুঙীর দিকে নিয়ে যায়।
"
সবাই নিচে দিশার জন্য অপেক্ষা করছে।কিছুক্ষণ পর,সিনহা-দিয়া, দিশাকে নিয়ে সিড়ি বেয়ে নামতেছে। ইমরান হা করে তার সিনহার দিকে তাকিয়ে আছে।সিনহা হলুদ শাড়ি পড়েছে।হলুদ শাড়িতে সিনহাকে একদম হলুদ পরী লাগছে।ইমরান,তার হলুদ পরীর দিক থেকে নজর সরাতে পারছে না।এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ইমরানের ন্যায় দিহানও অন্য আরেক হলুদ পরীর দিকে তাকিয়ে আছে।হ্যাঁ দিহান মুগ্ধ হয়ে দিয়াকে দেখছে। এভাবে কখনো দিয়াকে দেখা হয়নি। আজকে সন্ধ্যার ঘটনার পর থেকে, কেনো যেনো দিহান,দিয়ার প্রতি দূর্বল হয়ে গেছে।হয়তো প্রিয়জনের মুখে, এতোদিনের কাঙ্ক্ষিত কথাটা শুনতে পেরে।
আয়ান দুজনের মাঝখানে এসে দুইটার পেট বরাবর গুতা মারে।দুজনে আউ করে উঠে,আয়ানের দিকে তাকায়।
"ভাই তোরা যেভাবে তাকিয়ে আছিস। ওদের নজর লেগে যাবে তো।
"তোরা মানে?এই দিহান আবার কার দিকে তাকিয়ে ছিলো?
ইমরান ভ্রু কুঁচকে দিহানের দিকে তাকায়।দিহান তো ভয়ে শেষ, ভালোবাসাটা না হতেই বুঝি শেষ হয়ে যাবে।দিহান আয়ানের মাথায় ঠুয়া মারে।
" শালা এমনভাবে বলছিস যেনো,আমি দিশা আপুকে তাকিয়ে দেখতে পারবো না।দিশা আপুকে হলুদ শাড়িতে আজকে অনেক সুন্দর লাগছে, তাই দেখছি।
দিহানের কথা শুনে আয়ানের প্রচুর হাসি পায়।কিন্তু সে নিজের হাসিটা নিজের মধ্যেই চেপে রাখে বাইরে আসতে দেয়না।
"শুন দিশা আমাদের আপু হয়।এভাবে তাকাতে হয়না,নজর লেগে যাবে।
" হ তোর মতো শকুনের নজর আমার না।যে নজর লাগবে।শালা।
"
দিশাকে এনে স্টেজে বসানো হয়েছে। সবাই এগিয়ে আসছে দিশাকে হলুদ লাগানোর জন্য।
সিনহা সরে আসে,সিনহার দুই নয়ন একজনকে খুঁজছে।সিনহা আশেপাশে তাকাচ্ছে।এতো মানুষের ভীড়ে, কীভাবে দেখবে,তার ডেভিলটা কোথায় আছে?
হঠাৎ সিনহার মনে হয়,কেউ একজন তার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে।সিনহা সাথে সাথে পিছনে ফিরে দেখে,তার ডেভিল ভ্রূ উঁচু করে তাকিয়ে আছে।
"কাকে খোঁজা হচ্ছে শুনি?আমাকে নয়তো?
ইমরানের কথা মনে হয়,সিনহার কান অবদি পৌছায়নি।সে তার ডেভিলের দিকে হা করে,তাকিয়ে আছে।যা সুন্দর লাগছে না,তার ডেভিলকে।হলুদ পাঞ্জাবী পড়া,হাতে ফোল্ড করা।সিনহা ক্রাশ খেয়ে গেছে,তার ডেভিলের উপর।
" হ্যালো ম্যাম।(তুড়ি বাজিয়ে)
কোথায় হারিয়ে গেছেন?
ইমরানের তুড়ি বাজাতেই,সিনহার হুশ ফিরে আসে।
" ক কী হয়েছে?(থতমত খেয়ে)
"এভাবে চারিদিকে চোখ নাচানাচি করে,কাকে খুঁজছেন শুনি?
" কাউকে না।
"সত্যি।
" হ্যাঁ।
"তোকে তো এখন আমার মারতে ইচ্ছে করছে।
সিনহা প্রশ্নসূচক চাহনিতে ইমরানের দিকে তাকায়।ইমরান বুঝতে পেরে বলে,
" তোকে না সাজতে বারন করেছিলাম। আমি ছাড়া অন্য কারো জন্য সাঁজা তোর জন্য হারাম।এটা কী ভুলে গিয়েছিস।
সিনহা অন্য দিকে মুখ গুরিয়ে জবাব দেয়।
"তুইও তো সেজেছিস।সেটার কী হবে?
ইমরান সিনহার কানে ফিসফিস করে বলে,
" আমি সাজতে পারবো।কিন্তু তুই পারবি না।এমনিতেও তোর উপর ছেলেরা নজর দেয়।তার উপর এমন সাজ দিলে তো ছেলেরা তোকে তুলে নিয়ে চলে যাবে।
"আমাকে তুলে নেওয়ার আগে,তাদেরকে তোকে মোকাবেলা করতে হবে,আর আমি জানি,তুই থাকতে আমাকে কেউ তুলে নিতে পারবে না।
" অনেক কনফিডেন্স।
"
"হুম।
" বাইদা ওয়ে তোকে অনেক সুন্দর লাগছে।নতুন করে আবার প্রেমে পড়লাম।
সিনহা খুশি হয়ে,ইমরানের দিকে ফিরে জবাব দেয়।
"সত্যি।
" হুম সত্যি।আর এইসব সাঁজ-সজ্জা যেনো শুধু আমার জন্যই হয়।
"হুম।শুধু তোর জন্য।
এমনসময় ডাক আসে দিশাকে হলুদ লাগানোর জন্য।সিনহা,ইমরান দুজনেই দিশার সারা মুখে হলুদ লাগিয়ে দেয়। সিনহা হুঠ করেই হলুদ নিয়ে, ইমরানের মুখে মাখিয়ে হাসতে থাকে।সিনহার কান্ড দেখে ইমরান অবাক হলেও,অন্যরা হেসে দেয়।ইমরান আস্তে করে সিনহার উদ্দেশ্যে বলে,তোকে পরে দেখে নিবো। সিনহা প্রতুত্তরে ইমরানকে একটা ভেংচি উপহার দেয়।
হলুদের ফাংশন শেষ হওয়ার পর,ছেলেমেয়েরা ডান্স করার সিদ্ধান্ত নেয়।ছেলেরা এক গ্রুপ,মেয়েরা আরেকগ্রুপ।বিচারকের আসনে চাচা-চাচীকে বসানো হয়েছে।
ছেলেদের পক্ষ থেকে প্রথমে যায় আয়ান।
আয়ানের শেষ হলে,মেয়েদের পক্ষ থেকে যায় দিয়া।এভাবে এক এক করে সবাইর ডান্স শেষ হয়।এবার বিজয়ী ঘোষণা করার পালা।কিন্তু এখানে শুরু হয় চাচা-চাচীর ঝামেলা।চাচা বিজয়ী ঘোষণা করতে চায় মেয়েদের।কিন্তু চাচী বিজয়ী ঘোষণা করতে চায় ছেলেদের।এই নিয়ে চাচা-চাচীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়ে যায়।আর আজকে চাচা সবাইকে অবাক করে দিয়ে,চাচীকে ভয় না পেয়ে তার সাথে ঝগড়া শুরু করে দিয়েছে।
সবাই যখন ঝগড়া করতে ব্যস্ত,এমনসময় সবার আড়ালে ইমরান সিনহাকে নিজের রুমে নিয়ে,দরজা বন্ধ করে।
" ভাইয়া আমাকে রুমে আনলি কেনো?
"শাস্তি দেওয়ার জন্য।তখন আমার গালে হলুদ লাগানোর জন্য তোকে শাস্তি পেতে হবে।
" ভাইয়া আমি তো তখন দুষ্টুমি করে লাগিয়েছি।সরি।এবারের মতো মাফ করে দে না।
ইমরান নিজের বা হাত সামনে আনে,ইমরানের হাতে হলুদ দেখে সিনহা ভ্রু কুঁচকে বলে,
"তুইও আমাকে হলুদ লাগিয়ে দিবি?
ইমরান নিজের হাতে থাকা হলুদ টুকু নিজের দুই গালে লাগিয়ে নেয়। তারপর সিনহার দিকে এগিয়ে আসে।ইমরানের এহেন কাজে,সিনহা হা হয়ে যায়।সে ইমরানকে তার দিকে এগিয়ে আসতে দেখে পিছনে হটতে থাকে।একসময় সিনহার পিঠ দেওয়ালে লেগে যায়। ইমরান সিনহার দুই পাশে দেওয়ালে হাত রেখে সিনহার দিকে ঝুঁকে আসে।
" ভ ভাই.ইয়া ক কী করছিস?
"চুপ।
ইমরান সিনহার ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়।তারপর নিজের গাল,সিনহার গালের সাথে ঘষা দেয়। সিনহার শরীরের বিদুৎের শক লাগার মতো কারেন্ট দৌড়াতে থাকে।পুরোদেহ শিহরিত হয়ে উঠে।সিনহা চোখ বন্ধ করে ফেলে তার ডেভিলের স্পর্শ পেয়ে।ইমরান তার গালে থাকা হলুদ টুকু সিনহার দুই গালে লাগিয়ে দেয়।এমন শিহরণ জাগানো স্পর্শ পেয়ে,সিনহা চোখ খুলে না,লজ্জায় সিনহার মাথা নুয়ে যায়।সিনহার এভাবে লজ্জা পাওয়া দেখে ইমরান হেসে,সিনহার কপালে টুপ করে চুমু খায়।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না ।
comment url