সুন্দর একটা রিলেশনশিপের গল্প - A beautiful relationship story
সুন্দর একটা রিলেশনশিপের গল্প
সুন্দর একটা রিলেশনশিপের গল্প - A beautiful relationship story
রিলেশনশিপের গল্প
সস্তা রিলেশনশিপের যুগে অবাধে রিলেশনশিপ করাটাই যেন একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেন এটা একটা স্মার্টনেস। তাই তো উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা বিপরীত লিঙ্গের সাথে অনায়েসে রিলেশনশিপে জড়িয়ে পড়ে। তেমনি দু'জন সায়েম ও ফারজানা। কলেজ জীবন থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার সুবাধে সায়েম আমার সাথে প্রায়ই তার অনেক বিষয় নির্দ্বিধায় শেয়ার করে থাকে।
একদিন সায়েম আমাকে একটি রেস্তোরাঁয় ডেকে নিয়ে তার কিছু কথা বলতে চাইলো। তাকে দেখে বেশ বিষণ্ন মনে হচ্ছিলো। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম,
কী ব্যাপার, সায়েম! তোর চেহারা মুখ কালো দেখাচ্ছে যে। কোনো সমস্যা নাকি?
তখন সে বলল, আসলে বন্ধু আজ তোকে আমার জীবনের একটি বিষয় শেয়ার করবো। তুই তো জানিস-ই, আমার আর ফারজানার মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। যদিও তুই আমাকে বেশ কয়েকবার এই হারাম সম্পর্ক থেকে ফিরে আসার অনুরোধ করেছিলে কিন্তু আমি অধম তো তা শুনি নি। এইজন্য হয়তো আজ আমাকে মাশুল দিতে হচ্ছে। যাইহোক, আজ চার বছর হতে চললো আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু এই চার বছরে প্রকৃত অর্থে সুখ বলতে কিছুই পাইনি।
-- কেনো, কী হয়েছে?
-- আর বলিস না বন্ধু, চিন্তায় বাঁচি না। এই তো আমার প্রেমিকার সাথে বেশ কয়েকদিন ধরে ঝামেলা চলছিলো। ওকে কল দিলে শুধু ব্যস্ত আর ব্যস্ত দেখায়। যখন মেসেঞ্জার কিংবা হোয়্যাটস অ্যাপে ঢুকি তখনও দেখি তার ইনবক্সে সবসময় অ্যাকটিভের সবুজ বাতি জ্বলে। তখন চিন্তা হয়, না জানি কোন ছেলের সাথে ও চ্যাট করে বেড়াচ্ছে। এসব নিয়ে কতোবার যে তার সাথে কথা কাটাকাটি করেছি তার কোনো ইয়ত্তা নেই। সে আমার কোনো কথাই বুঝতে চায় না। ঘাড়ত্যাড়ামি আচরণ করে। সবসময় সে জিততে চায়। এককথায়, ওর আচরণে সারাক্ষণ আমাকে এক ধরণের দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
এছাড়া, সেদিন তো নিজ চোখেই দেখলাম, সে অন্য এক ছেলের সাথে ফোনে কথা বলছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কেনো অন্য ছেলের সাথে এভাবে কথা বলো?
শুরুতে সে অস্বীকার করতে চাইলেও অবশেষে সে বলল, ঐ ছেলে নাকি তার জাস্ট ফ্রেন্ড। এ কথা শুনে আমার মেজাজটা কী পরিমাণ খারাপ হয়েছিলো তা আসলে বলে বোঝাতে পারবো না। তখন আমি কী উপলব্ধি করলাম জানিস? আমি উপলব্ধি করলাম আল্লাহর পর্দার বিধান। কারণ এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে পর্দার বিধানের কাছে-ই আসতে হবে। পর্দার বিধান অর্থাৎ মাহরাম, নন- মাহরাম মানলে জাস্ট ফ্রেন্ড বলতে কিচ্ছু থাকবে না।
আমি এক ওয়াজে শুনেছিলাম, নেক্কার স্ত্রী না-কি আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড়ো এক নিয়ামত।
তার অমন আচরণে আমি বুঝতে পারলাম যে, আসলেই একজন নেক্কার স্ত্রী অনেক বড়ো নিয়ামত। তার মতো মেয়ে যদি আমার স্ত্রী হয় তাহলে আমার লাইফটা তুলোধুনো করে ছাড়বে। তখন বোধ হয় দুনিয়াতেই আমার জাহান্নাম দেখা হয়ে যাবে।
আমার আসলে তার আচরণ একদমই সহ্য হচ্ছে না। আমি আর এই হারাম সম্পর্ক রাখতে চাই না। এ এক মানসিক যন্ত্রণার সম্পর্ক। প্রতিনিয়ত মানসিক অশান্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কেন জানি সবসময় এরকম সন্দেহ হয় যে, এই বুঝি সে অন্য ছেলের সাথে প্রেম করছে, এই বুঝি চ্যাটিং করছে ইত্যাদি আরও কতো-কি মনে হয়। এগুলো সবসময় মানসিক অস্থিরতার মধ্যে রাখে যার প্রভাব শারীরিকভাবেও পড়ে। তাই আজ সকালে এখানে আসার আগে তার সাথে ব্রেক আপ করেছি। অবশেষে বুঝতে পারলাম, হারাম রিলেশনশিপে আরাম নাই। কারণ এমন সম্পর্কে যে আল্লাহর অবাধ্যতায় ভরপুর।
আমি এবার স্ব জোরে বললাম, আলহামদুলিল্লাহ! এই তো ভালো করেছিস, সায়েম। এখন তোর প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, তুই নিজেকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত কর। আর যতো শীঘ্রই সম্ভব বিয়ে করে ফেল। বিয়ে তোকে অনেক ফিতনা থেকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে, মানসিক প্রশান্তি দিবে। ইন শা আল্লাহ!
-- হ্যাঁ বন্ধু আমি সেটাই চিন্তা করছি। পরিবারকেও ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়ে এসেছি আমার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে।
-- মা শা আল্লাহ! তাহলে তো ভালোই হয়েছে। হালাল সম্পর্কেই আল্লাহ মানসিক প্রশান্তি রেখেছেন, রেখেছেন সুখ, হারাম সম্পর্কে নয়। আল্লাহ তা'য়ালাই সে সম্পর্কে বলেছেন, তার নির্দশনসমূহের মাঝে এ-ও (একটি) তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের সঙ্গী সঙ্গিনীদের বানিয়েছেন, যাতে করে তোমরা তাদের কাছে সুখ লাভ করতে পারো; তাছাড়া, তিনি তোমাদের মাঝে ভালোবাসা ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে দিয়েছেন ; অবশ্যই এর মাঝে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য অনেক নির্দশন রয়েছে। [১]
-- এ তো দেখছি একটি মোটিভেশনাল আয়াত।
-- হ্যাঁ, সেটাই। আল্লাহর প্রতিটি কথাই মোটিভেশনাল।
তাহলে ঠিক আছে, আজ উঠি। এই বলে আমরা সেদিনকার মতো কথা শেষ করে যারা যার বাসায় চলে গেলাম।
কয়েকদিন পর.......
সায়েম আবার আমাকে ফোন করে সেই রেস্তোরাঁয় ডেকে নিলো। সেখানে যাওয়ার পর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, বিয়ের জন্য কি কোনো কনে দেখা হয়েছে। তখন সে ঐদিনের থেকেও বেশি মলিন চেহারায় বলল,
আর বলিস না বন্ধু। আমি এখনো অশান্তিতে ভুগছি। ব্রেকআপ করেও শান্তি পাচ্ছি না।
আমি তার দিকে তাকিয়ে অবাক ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করলাম, কেনো, আবার কী হয়েছে?
চেহারা মুখে বিষণ্ণতার ছাপ নিয়ে সে ক্লান্ত স্বরে বলল, ব্রেকআপ করার পর ঐ মেয়ে আমাকে একের পর এক থ্রেট দিয়েই যাচ্ছে। আমাকে না পেলে সে না-কি আত্নহত্যা করবে। সে আমাকে আল্টিমেটাম দিয়েছে যে, এক সপ্তাহের মধ্যে যদি আমি তার সাথে আবার সম্পর্ক স্থাপন না করি তবে সে নাকি আট দিনের মাথায় আত্মহত্যা করবে। আমি আসলে কিছুই বুঝতে পারছি না যে, আমি এখন এই অবস্থায় কী করবো! আমার মাথায় কিচ্ছু কাজ করছে না। কেন যে প্রেম করতে গিয়েছিলাম। ইশ! এভাবে একসময় এই পাপের পাশ্চাত্য করতে হবে তা কখনো ভাবি নি।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ঐ বোনের সাথে তোর ব্রেক আপ হওয়ার পরও ঐ বোন তোকে কিভাবে আত্নহত্যার হুমকি দিতে সক্ষম হলেন?
সে বলল, আরে! আমি তো আমার আগের নাম্বার পর্যন্ত পরিবর্তন করেছি যা কয়েকজন ব্যতীত কাউকেই দেই নি। তা-ও সে কিভাবে যেনো আমার নাম্বার পেয়ে গিয়েছিলো। তারপর পুনরায় নাম্বার চেইঞ্জ করে আমার বন্ধুদেরও কাউকেই দেইনি। সে আমার সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে না পারায় ফেইসবুকে তাকে ব্লক করে দেওয়া সত্ত্বেও সে অন্য একটি আইডি ব্যবহার করে আমাকে দীর্ঘ একটি মেসেজ পাঠিয়ে সুইসাইডের হুমকি দিয়েছে।
তার সেই সুইসাইডের হুমকি দেখে আমি থমকে দাঁড়ালাম। আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না যে, আমি কী করবো। চরম এক ডিপ্রেসনে আছি। ভাবলাম, তোর সাথে এসব কথা শেয়ার করি। আমার জন্য দোয়া করিস বন্ধু যেন আল্লাহ তা'য়ালা আমাকে এই মহা বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। না হচ্ছে ঠিকমতো খাওয়া, না হচ্ছে ঠিকমতো ঘুম। সবসময় ভেতরের মধ্যে এক ধরণের ভয় ও অস্থিরতা কাজ করে। আমি আসলে এমন এক ডিপ্রেশনে আছি মনে হচ্ছে বেঁচে থেকেও যেন বেঁচে নেই, যেন আমি এক জীবন্ত লাশ।
সে কাঁদো কাঁদো গলায় আরও বলল, আজ যদি আমি ঐ মেয়ের সাথে হারাম রিলেশনশিপ না করতাম তাহলে হয়তো আজ আমাকে এই যন্ত্রণার স্বীকার হতে হতো না। এখন আমি ব্রেক আপ করেও শান্তি পাচ্ছি না। আমি বুঝতে পারছি, আমার পাপের প্রায়শ্চিত্য করতে হচ্ছে।
আমি তার পিঠে হাত রেখে বললাম, তুই একটুও চিন্তা করিস না, সায়েম। হতাশ হলে চলবে না। তোকে ধৈর্য্যের সাথে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। আর সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখিস। কোনোভাবেই আল্লাহর উপর ভরসা জায়গা নড়বড়ে হওয়া যাবে না। আল্লাহ তা'য়ালা বলেছেন, যে আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট। [২]
তুই ঐ বোনের সাথে ব্রেক আপ করে কোনো অন্যায় করিস নি। এই অবৈধ সম্পর্ক এমনিতেই তো হারাম। সে তোকে যে হুমকি দিচ্ছে সেটা তো হারাম সম্পর্ক স্থাপনের হুমকি দিচ্ছে, ইসলামে যার কোনো ভিত্তি নেই। এই কারণকে সামনে রেখে সে আত্নহত্যা করলে বিষয়টি এভাবে দাঁড়াবে যে, হারাম সম্পর্ক স্থাপনের মতো কবিরা গোনাহের প্রস্তাব প্রত্যাখান করার কারণে সে আত্নহত্যার মতো আরেকটি কবিরা গোনাহ করলো। এর চেয়ে বড়ো কপালপোড়া আর কে হতে যে এমন নিকৃষ্ট কাজ করতে পারে?
আর শুন, ঐ বোনের সাথে রিলেশন করে তুই নিজেই কিন্তু কাজটি মোটেও ঠিক করিস নি। এখানে তোর নিজের দোষ কম নয়। আমি তোকে এ ব্যাপারে অনেক বার বুঝিয়েও পাত্তা পাই নি। তুই বরং আমার কথাগুলো তখন এড়িয়ে চলতি। কী, আমি তখন বলেছিলাম না, হারাম রিলেশনশিপের শেষ পরিণতি ভয়ঙ্কর রকমের খারাপ হয়। সেদিন আমার এই কথাটি উপলব্ধি করতে না পারলেও আজ যে সেটি হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করা হচ্ছে তা বুঝতে পারছি।
একটি কথা বলি সেটা শুনতে হয়তো তোর খারাপ লাগবে। আর সেটা হচ্ছে যারা বিয়ের আগে হারাম রিলেশনশিপের মতো যিনার কাজে লিপ্ত থাকে তারা আর যা-ই হোক বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে প্রকৃত সুখ পায় না। কারণ তারা বিয়ের আগেই অবৈধ সম্পর্ক তথা যিনায় লিপ্ত থেকে আল্লাহর অবাধ্য হয়েছে। আল্লাহর অবাধ্য হয়ে সুখ তালাঁশ করেছে। ফলশ্রুতিতে, তাদের অধিকাংশরাই বিয়ের পর সাংসারিক জীবন অশান্তিতে কাটায়, এদের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকে যেন বিয়ের আগের রিলেশনশিপে জড়ানোর তথা যিনায় লিপ্ত থাকার দুনিয়াবী নগদ এক শাস্তি।
এই তো আমার কিছু পরিচিত যারা বিয়ের আগে একে অপরের সাথে রিলেশনশিপে যুক্ত ছিল স্বয়ং তাদের মুখে শুনেছি যে, বিয়ের পর থেকে সময় যতো গড়িয়েছে তাদের না-কি অশান্তির মাত্রা ততোই বেড়েই চলছে। কেনো যেনো তাদের একে অপরের বনিবনা হচ্ছে না। মনের দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। কাছে থেকেও যেন হাজার মাইল দূরত্বে তাদের অবস্থান। মূলত, বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া যারা হারাম রিলেশন থেকে বিয়ে করে তাদের প্রত্যেকেরই এই হচ্ছে দাম্পত্য জীবনের বাস্তব চিত্র। অথচ বিয়ের আগে তাদের তথাকথিত ভালোবাসা যেন উসলে পড়েছিলো।
আমার ঐ পরিচিতদের কথায় বুঝতে পারলাম যে, তারা তাদের বিবাহিত জীবনে অনেক কষ্ট করছে। যে সুখ তারা বিবাহের আগে পাওয়ার চেষ্টা করেছে সে সুখ আজ বিবাহিত জীবনে যেন এক সোনার হরিণের নাম। তাদের ঘটনা শুনে সত্যিই মনটা ভারী হয়ে গেলো। আল্লাহ যেন তাদের প্রত্যেককে শান্তিতে রাখুন। আমিন!
যাইহোক, তোর যা হওয়ার তো হয়েই গেছে। পেছনে ফিরে তাকালে নিজেকে আর সংশোধন করা হবে না। তুই বরং এখন আল্লাহর কাছে লজ্জিত হয়ে অনুতপ্ত হৃদয়ে কায়মনোবাক্যে তওবা কর। আর কক্ষণোই যেন এমন না হয়।
আর আমার ঐ বোনের পক্ষ থেকে কারো মাধ্যমে কখনো কোনো বার্তা আসলে তুই উনার কোনো নেতিবাচক কথা না বলে শুধু নিজের দোষকে সামনে এনে এতটুকুই বলতে পারিস যে, আমি যা করেছি ভুল করেছি, আমি উনার সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপন করে আমি নিজে যেমন আল্লাহর অবাধ্য হয়েছি ঠিক তেমনি উনাকেও আল্লাহর অবাধ্য করেছি। সেজন্য আমি প্রথমেই সেই রবের কাছে ক্ষমা চাই যে রবের নাফরমানী আমি নিজে করেছি। তারপর আমি উনার কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাই, যার সাথে হারাম রিলেশনশিপ করে যাকে আমি আল্লাহর অবাধ্যতায়, আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে ডুবিয়ে রেখেছি।
-- বন্ধু তোর এমন সুপরামর্শ আমার অনেক কাজে দিবে। আমি আসলে ব্যাপারটি নিয়ে অনেক বেশি পেরেশানিতে ছিলাম। কিন্তু তোর কথায় আমার পেরেশানি অনেকখানিই লাঘব হয়ে গিয়েছে। নিজেকে এখন হালকা বোধ করছি। দুশ্চিন্তার যে ভার কাঁধে নিয়ে তোর কাছে এসেছিলাম সেটা যেন এখন আর নেই। একটু আগেও আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না, কী করবো না করবো। কিন্তু তোর কথায় এখন বুঝতে পারছি, আমার কী করা উচিত।
-- তাই নাকি, আলহামদুলিল্লাহ!
রেফারেন্সঃ
[১] সূরা আর রোম, আয়াত নং : ২১
[২] সূরা আত তালাক, আয়াত নং : ০৩
কিছু কথাঃ
গল্পে সায়েমের শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিলো সেটা অজানা থেকে গেলেও সায়েম হারাম রিলেশনশিপ করে কী পরিমাণ মানসিক কষ্টে ভুগছিলো তা আমরা কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছি। আসলে, হারাম সম্পর্ক স্থাপন করে যতোটানা সুখ পাওয়া যায় তার চেয়ে বহুগুণ বেশি দুনিয়াবী নানান আযাবের মুখোমুখি হতে হয় যা তিলে তিলে হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়।
যাইহোক, আমাদের যেসব ভাই-বোন হারাম রিলেশনশিপে যুক্ত থেকে আরাম খুঁজছেন তাদের সময় থাকতে সায়েমের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে সংশোধন করে নেওয়া উচিত। অন্যথায়, জীবদ্দশায় অনেক কঠিন মাশুল দিতে হতে পারে যা হয়তো আপনার কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাবে। অতএব, সাবধান। আর মনে রাখবেন, আল্লাহর নাফরমানী তথা অবাধ্যতায় কোনো শান্তি নেই। আল্লাহর অনুগত থাকাতেই সকল শান্তি নিহিত।
যা সার্চ করে বিভিন্ন ব্যাক্তিরা - ভালোবাসার গল্প,প্রেম ও রিলেশনশিপের গল্প,প্রেম ও রিলেশনশিপের গল্প পার্ট ২,প্রেম ও রিলেশনশিপের গল্প পার্ট ১,প্রেমের গল্প,রিলেশনশিপ,কাছে আসার গল্প,রিলেশনশিপ নিয়ে দাদুর আরেকটি গল্প,''একটি সফল লং-ডিসটেন্স রিলেশনশিপের গল্প'',লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপ! মিষ্টি ভালবাসার গল্প।,বিয়ের রাতের গল্প,লং ডিস্ট্যান্স রিলেশনশিপ,গল্প,সমবয়সী রিলেশনশিপ,লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ,জীবনের গল্প,কষ্টের গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,গল্পটা প্রথম প্রেমের,মজার গল্প,বাংলা কষ্টের গল্প